আজ ৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ হয়েছে ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ পর্যন্ত টোল আদায় বাবদ আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৯৮৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ নির্মাণ ব্যয় থেকে এক হাজার ২৪১ কোটি টাকা বেশি টোল আদায় হয়েছে।
এদিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ। মন্ত্রী জানান, টোল বাবদ আদায়কৃত অর্থ হতে সেতুর রক্ষাবেক্ষণ ব্যয়সহ সেতু কর্তৃপক্ষের অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের পর এ সেতু নির্মাণে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের ঋণ পরিশোধ করা হয়ে থাকে। তবে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহ হতে গৃহীত ঋণ সেতু হতে আদায়কৃত টোলের মাধ্যমে ২০৩৪ সাল নাগাদ পরিশোধ সম্পন্ন হবে।
এ সময় সরকারি দলের আরেক সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন মহাসড়ক সংলগ্ন কিছু অব্যবহৃত ভূমি কতিপয় অসাধু ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে অবৈধ দখল হয়। তবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পক্ষ হতে প্রতিনিয়তই এ অসকল অবৈধ দখলের বিষয়ে মনিটর করা হচ্ছে এবং অবৈধ স্থাপনাসমূহ অপসারণ কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
এ সময় আওয়ামী লীগের দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী জানান, মোটরযানের হাইড্রোলিক হর্ন-এর বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর হতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকেও হাইড্রোলিক হর্ন-এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এছাড়া বিআরটিএ কর্তৃক হাইড্রোলিক হর্ন খুলে রাখা হচ্ছে।
তাছাড়া সরকার দলীয় সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনায়াজের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বহুমাত্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরঅংশ হিসেবে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল মহাসড়সহ দেশের এক হাজর ৭৫২ কিলোমিটার মহাসড়ক ধীর গতির যানবাহন চলাচলের জন্য উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেনের সংস্থাপন রেখে চার লেনে উন্নীত করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
