দীর্ঘ ১৬ বছর পর আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করল ফিলিস্তিনিরা

মক্কা ও মদিনা শরীফের পর মুসলিমদের জন্য তৃতীয় পবিত্র স্থান ছিল আল-আকসা মসজিদ। জানা যায়, ২০০৩ সালে আল-আকসা মসজিদের আল-রাহমা গেট বন্ধ করে দিয়েছিল ইসরায়েল। মক্কা ও মদিনা শরীফের পর মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র এই মসজিদের দরজাটিও বন্ধ হয়ে যায়।

আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই পূর্ব জেরুজালেমের অধিকাংশ এলাকা ইসরায়েল দখল করে নেয়ার ফলে সেখানে অবস্থিত আল-আকসায় ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ইসরায়েল একটি ফন্দি আরোপ করে, সেখানে দখল করে নেওয়া আল-আকসায় ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে দ্বার বন্ধ করে দেওয়ার জন্য কড়াকড়ি করে। ফলে আল-রাহমা দরজা দিয়ে প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়।

এই দরজার ভিতরে ছিল একটা হল রুম, সেটিও তালা বন্ধ করে ফিলিস্তিনিদের নামাজ আদায় করা থেকে বিরত রাখা হয়। তারা দরজাটি বন্ধ করেও ক্ষান্ত হননি বরং সেখানে অতিরিক্ত সৈন্যও মোতায়েন করে রেখেছিল।

গত রবিবার ফিলিস্তিনিরা দরজাটি উন্মুক্ত করতে আন্দোলন শুরু করে এবং তা খুলে দেয়া হলেও পরে তা নিরাপত্তা বাড়িয়ে দরজাটি আবারো বন্ধ করতে লোহার চেইন সংযুক্ত করা হয়। তবুও ফিলিস্তিনিরা আন্দোলন অব্যাহত রাখে এবং শুক্রবার পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভ থেকে ইতোমধ্যেই অন্তত ৬০ জন আন্দোলনকারীকে আটকও করেছে ইসরায়েল।

ফলে প্রায় ১৬ বছর পর আল-আকসা মসজিদের আল-রাহমা গেট খুলে নামাজ পড়লেন ফিলিস্তিনিরা। শুক্রবার বিকেল গড়ালে মসজিদটির তত্ত্বাবধানে দ্য ওয়াকফ কমিটি তা স্থায়ীভাবে খুলে দেয়। পরে ইসরায়েলও ওয়াকফ কমিটির এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে।

এদিকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানায়, ফিলিস্তিনিরা শুক্রবার বিগত ১৬ বছরে প্রথমবারের মতো আল-রাহমা গেট দিয়ে প্রবেশ করেছে এবং নামাজ আদায় করেছে। এই দরজাটি দিয়ে প্রবেশ করে মুসুল্লিরা হলরুমটিতে ফিলিস্তিনি পতাকাও লাগিয়ে দিয়েছে।