নববধূকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা, গণধোলাইয়ে আহত ৭ জন

আজ ৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার সাহারপাড় গ্রামে এক বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে বখাটেদের হামলার খবর পাওয়া গেছে। হামলায় নববধূকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা কালে স্থানীয় জনতা গণপিটুনি দিয়ে ৭ বখাটেকে পুলিশে কাছে তুলে দিয়েছে।

এদিকে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি দেবীদ্বার উপজেলার সূর্যপুর গ্রামের জাকির ফরাজীর মেয়ে ফাতেমা আক্তারের বিয়ে হয়। বর একই উপজেলার সাহারপাড় গ্রামের মো. ইউনুছের ছেলে ছিদ্দিকুর রহমান। শুক্রবার বরের বাড়িতে বৌ-ভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় ওই অনুষ্ঠানে কনের কলেজের সহপাঠী ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে দুপুর আড়াইটার দিকে ২৫/৩০ জনের একদল বখাটে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলায় বখাটেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজনদের মারধর করে কনে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে।

এ সময় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিসহ স্থানীয় লোকজন তাদের ঘিরে ফেলে এবং গণপিটুনি দিয়ে একটি কক্ষে ঘরে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। এদিকে আটককৃতরা হচ্ছে- জেলার বুড়িচং উপজেলার নামতলা গ্রামের জাফর হোসেন (১৮), কোরপাই গ্রামের সজিব পাল (১৮), চান্দিনা উপজেলার এতবারপুর গ্রামের কাউছার আহম্মেদ (২০), আদর্শ সদর উপজেলার আনন্দসার গ্রামের আলী হোসেন (২০), দেবীদ্বার উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের মেহেদী হাসান (১৮), সূর্যপুর গ্রামের মো. আলম (২২), মহরং গ্রামের নাইদুল ইসলাম (১৮)।

এ সময় কথিত প্রেমিক ইসমাইলসহ অপর সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এদিকে আহতদের দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এদিকে রাত সোয়া ৮টার দিকে পরিবারের বরাত দিয়ে দেবীদ্বার থানার এসআই সোহরাব হোসেন জানান, কনে ফাতেমা আক্তার দেবীদ্বার সুজাত আলী সরকারি ডিগ্রি কলেজে অধ্যয়নকালে জেলার বুড়িচং উপজেলার মাধবপুর গ্রামের আবু মুছার ছেলে ইসমাইল হোসেন একাধিকবার প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। এতে সাড়া না দেওয়ায় ফাতেমাকে সে হুমকি দেয়। ফাতেমার বিয়ের খবর পেয়ে ইসমাইল ক্ষুব্ধ হয়ে একদল বখাটে নিয়ে বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে হামলা চালায়।

এদিকে জানা যায়, ওই ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হয়েছে। তাছাড়া পলাতক ইসমাইলসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।