ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির সঙ্গে ইমরান খানের জরুরি বৈঠক

আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়ে পাকিস্তানের আকাশে ঢুকে জইশ ঘাঁটি ধ্বংস করার ঘটনায় এখনও দিশেহারা পাকিস্তান। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সকাল থেকেই একের পর এক বৈঠক করে চলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই সব বৈঠকে কখনও পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি, কখনও দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সঙ্গ দিচ্ছেন তাঁকে। দিনের শেষে অবশ্য ন্যাশনাল কম্যান্ড অথরিটির সঙ্গে বৈঠকের ডাক দিলেন ইমরান। এই কমিটির হাতেই আছে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবহারের সর্বোচ্চ ক্ষমতা।

তাছাড়া পাকিস্তান দিনটা শুরু করেছিল ইমরানের ডাকা জরুরি বৈঠক দিয়ে। জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল জুবের হায়াত, নৌসেনা প্রধান জাফর মহম্মদ আব্বাসি ছাড়াও পাক প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা। সেই বৈঠকের পরই ইমরানের দফতর বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, ‘পাক সেনা এবং পাক জনতা যেন সব কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকে।’

এরপর সন্ধ্যায় আরও একটি বৈঠকের কথা জানান পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, বুধবার ন্যাশনাল কম্যান্ড অথরিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একই বক্তব্য শোনা যায় পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুরের কাছে। ভারতকে লক্ষ্য করে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘আমি বলছি, আমরা আপনাদের অবাক করে দেব। একটু অপেক্ষা করুন। এই প্রত্যাঘাত অন্য ভাবে আসবে।’

এ সময় তিনি মন্তব্য করেন, ‘বুধবার পাক পার্লামেন্টে যৌথ অধিবেশন। এর পরই ন্যাশনাল কম্যান্ড অথরিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, এনসিএ মানে কী?’ এদিকে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি হল ন্যাশনাল কম্যান্ড অথরিটি।

এর আগে গত ২০০০ সালে পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক সরকার সরে যাওয়ার পর এই কমিটি তৈরি করেছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারফ। ২০০০ সালে এনসিএ তৈরির সময় পাক সংবাদপত্র ডন লিখেছিল, ‘পাকিস্তানের সমস্ত পরমাণু অস্ত্রের দেখভাল, অস্ত্র নীতি তৈরি করা এবং ব্যবহারের সর্বোচ্চ ক্ষমতা এই কমিটির হাতে থাকবে।’