বন্ধু তামিমের সেঞ্চুরির দিনে মাথা নিচু করে ফিরলেন সাকিব

তামিমের টর্নেডো ব্যাটিংয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করা সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯৯ রান করে কুমিল্লা। কুমিল্লার দেয়া ২০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোন রান না করেই উইকেট হারায় ঢাকা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে রান নিতে গিয়ে সাইফউদ্দিনের দুর্দান্ত থ্রোতে কোন বল না খেলে কোন রান না করে ফিরে যান নারিন। ২০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে হোচট খায় ঢাকা।

তবে নারিন আউট হলেও ব্যাট করতে নেমে টর্নেডো ইনিংস শুরু করেন রনি তালুকদার। উপুল থারাঙ্গাকে সঙ্গে নিয়ে জয়ে লক্ষ্যে তাণ্ডব চালান তিনি। ৩ ছয় ও ৫ চারে ২৬ বলে অর্ধশতক হাঁকান রনি। রনির পরে কাঙ্খিত অর্ধশতকের দিকে এগিয়ে যান থারাঙ্গা। কিন্তু মাত্র ২ রানের জন্য অর্ধশতক হাঁকাতে পারেননি তিনি। নিজে দেশের পেরেরার বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আবু হায়দার রানির হাতে ধরা পড়ে ফিরে যান তিনি।

২৭ বলে ৩ ছয় ও ৪ চারে ৪৮ রান করেন থারাঙ্গা। এরপর ক্রিজে আসেন ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু বন্ধু তামিমের সেঞ্চুরির দিনে ব্যর্থ হলে সাকিব। তামিমের হাতে ধরা পড়ে ৫ বলে মাত্র ৩ রান করে ওয়াহব রিয়াজের বলে ফিরে যান তিনি।

এর আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের ফাইনালে আজ শুক্রবার (৮ই ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ঢাকা ডায়নামাইটস। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালের লড়াই শুরু হয় বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হয় সন্ধ্যা সাতটায়। টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢাকা ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। দলীয় দ্বিতীয় ওভারের রুবেলের ৫ বলে এলভির ফাঁদে পড়ের ওপেনার এভিন লুইস। যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু রিভিউতে রক্ষা হয়নি। ৭ বলে ১ চারে ৬ রান করে ফিরে যান লুইস। তবে লুইস আউট হলেও চার-ছয় হাঁকাতে থাকেন তামিম। তবে নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে রাখেন এনামুল।

এনামুলকে সঙ্গে নিয়ে ৪২ বলে ৫৩ রানের পার্টনারশিপ পূর্ণ করেন। তবে নবম ওভারের শেষ বলে রাসেলের হাতে ধরা পড়ে ছিলেন। কিন্তু একটুর জন্য কটটি মিস করেন রাসেল। জীবন পেয়ে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন তামিম। ৩১ বলে তুলে নিলেন নিজের আরেকটি অর্ধশতক। ২ ছয় ও ৫ চারে নিজে অর্ধশতকটি তুলেন। তামিমের অর্ধশতকে হাঁকানোর পর দলে ছন্দ পতন দেখায়।

সাকিবের এলভির ফাঁদে পড়ের এনামূল। ৩০ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান তিনি। তবে রিভিউ না থাকায় আউট না হলেও আউট হন তিনি। পরে ওভারে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরে যান শামসুর রহমান। কোন রান না করেই ফিরে যান তিনি।

তবে টর্নেডো ব্যাটিংয়ে ৫১ বলে ১০৩ রান করেন নিজের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তামিম। এবারের এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। বিপিএলে সেঞ্চুরি দেশিয় ক্রিকেটার হিসেবে রেকর্ড সৃষ্টি করলেন। ১১টি ছক্কা ও ১০ টি চার হাঁকিয়ে ৬১ বলে ১৪১ রান করেন অপরাজিত থাকেন তামিম। কায়েস ২১ বলে ১৭ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান করে কুমিল্লা।

আর ৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম। ৫ রানের জন্য গত বিপিএলে ফাইনালে গেইলের রানকে টপকাতে পারেননি। ফাইনালে ৬৯ বলে রেকর্ড ১৮ ছক্কা হাঁকিয়ে ১৪৬ রানের হ্যারিক্যান ইনিংস গড়ে রংপুরকে চ্যাম্পিয়ন করে ম্যান অফ দ্যা টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন গেইল।

আর এই ৫ রানের জন্য বিপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের ইসিহাস সৃষ্টি করা হলোন তামিমে। যদিও কোন বাংলাদেশি হিসেবে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের ইতিহাস করেন তামিম। এর আগে সাব্বির করনে ১২২ রান।