বাসায় জিম্মি করে তরুণীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা, অতঃপর…

কাজী শাহরিয়ার রুবেল, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শেফালী বেগম (৫০) ও মামুন (৩৫) নামে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১-এর সদস্যরা।

শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ভূমিপল্লীর আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে প্রথমে শেফালী বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে তার স্বীকারোক্তিতে কদমতলী এলাকা থেকে মামুন নামে এক মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করে র‌্যাবের সদস্যরা। এ সময় শেফালী বেগমের বাসা থেকে এক তরুণীকে (২২) উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১১-এর সিপিএসসির নারায়ণগঞ্জের আদমজীর ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, শেফালী বেগম কয়েক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে তরুণীদের দিয়ে পতিতাবৃত্তির ব্যবসা করে আসছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে একটি সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের মাধ্যমে তরুণীদের অধিক বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পতিতাবৃত্তির কাজে ব্যবহার করেন শেফালী। তার অধীনে অনেক যৌনকর্মী ও খদ্দের রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত মামুন শেফালীর একজন নিয়মিত খদ্দের। পরিচয়ের সূত্র ধরে উদ্ধারকৃত তরুণীকে অধিক বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে মামুন। প্রথমে তরুণীকে ঢাকার কমলাপুর এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে রাখে। হোটেলে তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে মামুন। পরে চাকরি দেয়ার নামে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তরুণীকে শেফালী বেগমের কাছে বিক্রি করে দেয় মামুন।

পুলিশ সুপার জানান, শেফালী বেগম তরুণীকে তার বাসায় জিম্মি ও মারধর করে নিয়মিত খদ্দেরদের সঙ্গে অসামাজিক কাজে বাধ্য করে। শেফালী বেগম ও মামুনের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে হয়েছে।