ভারতকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার ঘোষণা ইজরায়েলের!

কাশ্মিরের পুলওয়ামাতে আধা সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে হামলার রেশ না কাটতেই গতকাল সোমবার স্বাধীনতাকামীদের সাথে গোলাগুলিতে মেজরসহ চার ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। পিংলান এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালায় সন্দেহভাজন যোদ্ধারা। নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা অভিযানে মারা যায় দুই স্বাধীনতাকামী ও তাদের আশ্রয়দাতা।

এদিকে সহিংসতার এসব ঘটনার মধ্যে আবার উত্তেজনা বেড়েছে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে। এদিকে নয়াদিল্লিকে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পালটা যুদ্ধের হুমকি দিলেও ফের অস্বস্তি বাড়ল তাদের। এবার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য ভারতকে নিঃশর্ত সমর্থন জানাল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইজরায়েল।

এ ব্যাপারে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কলকাতা টুয়েন্টিফোর এক প্রতিবেদনে জানায়, মঙ্গলবার ইজরায়েলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে তারা বদ্ধপরিকর। সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে যারাই যুদ্ধ করবে তাদের সমর্থন করবে ইজরায়েল। এই সমর্থন হবে নিঃশর্ত। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি ভারতকে সাহায্য করতে চায় বলেও জানানো হয়েছে।

এদিকে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে ইজরায়েলের এই সমর্থনকে স্বাগত জানানো হয়েছে। বিদেশমন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ইজরায়েলের পাশে থাকার প্রস্তাব সাধুবাদ যোগ্য। এই লড়াইয়ে যারাই পাশে থাকতে চাইছেন তাদের ধন্যবাদ।

এদিকে কাশ্মীরে হামলার পরপরই মধ্যপ্রাচ্যের পরস্পর বিরোধী দুই দেশ ইরাক, ইরান ভারতের পাশে দাঁড়ায়। এই দু’টি দেশই জানিয়ে দেয় সন্ত্রাস মোকাবিলায় নয়াদিল্লির পাশে রয়েছে তারা। অন্নদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে শীতল সম্পর্ক ইরানের। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশে আফগান জঙ্গিদের বোমারু আক্রমণের জন্য তারা দায়ী করে পাকিস্তানকেই।

এদিকে সৌদি আরবের যুবরাজ গতকাল সোমবারই ইসলামাবাদে গিয়ে পাকিস্তানকে সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। এরপর আজ মঙ্গলবারই তাঁর আসার কথা ছিল ভারতে। কিন্তু ভারত না এসে দেশে চলে জান সৌদি যুবরাজ। সৌদি যুবরাজও এই হামলা নিয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও সন্ত্রাস মোকাবিলা করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন।