ভারত সফর বাতিল করে দেশে ফিরে গেলেন সৌদি যুবরাজ

সৌদির যুবরাজ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ভারতে না গিয়ে দেশে ফিরে গেছেন। এদিকে পাকিস্তান সফর শেষে দিল্লিতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু দেশে ফিরে যাওয়া বিষয় পরিস্কারভাবে কিছু জানান নি সৌদি আরব।

এদিকে ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীর ইস্যু এবং সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে পাকিস্তান ও রিয়াদ আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে আজ মঙ্গলবার রাতে ভারতে পৌঁছানোর কথা ছিল ক্রাউন প্রিন্সের। ধারণা করা হচ্ছে, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতীয়দের সংবেদনশীলতা উপলব্ধি এবং দিল্লির কৌশলগত তাৎপর্য অনুধাবন করেই তিনি দিল্লি সফর বাতিল করে দেশে ফিরে গেছেন।

তাছাড়া আগামীকাল বুধবার ভারতের সঙ্গে তার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এরপর সেখান থেকে তার চীনে সফর করার কথা ছিল। চীন সফরের মাধ্যমেই তার এশিয়া সফর শেষ করার কথা। তাছাড়া বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ এবং আবাসন খাতে দিল্লি এবং রিয়াদের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।

এদিকে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে একঘরে করার প্রচেষ্টার মধ্যেই সৌদি প্রিন্সের পাকিস্তান সফরকে বিপত্তি হিসেবে দেখছে না ভারত। কারণ তার এই সফরের পরিকল্পনা কাশ্মীরের পুলওয়ামার হামলার আগেই গৃহীত হয়েছে।

এদিকে যুবরাজ সালমান তার এ সফরে ‘মিত্র’ দেশ হিসেবে পাকিস্তানের আর্থিক অচলাবস্থা কাটাতে দুই হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করার ঘোষণা দেন। তার সফরে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ছাড়াও সৌদি আরবে দুই হাজারের বেশি বন্দি পাকিস্তানি নাগরিককে মুক্তি দেয়ার কথা জানান তিনি।

এদিকে ভারতীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যাবাসন থেকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত এবং সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক আমূল পরিবর্তন হয়েছে। তাই সবদিক থেকে ভারতের নয় বরং পাকিস্তানেরই চিন্তিত হওয়ার কারণ রয়েছে।