যুদ্ধের শুরু? এলওসি জুড়ে লাগাতার বোমাবর্ষণ পাকিস্তান সেনার

কাশ্মীরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের নওশেরা ও আখনুর সেক্টরে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে গোলা বর্ষণ করেছে পাক রেঞ্জার্স। এছাড়া আজ মঙ্গলবার সকালের দিকে রাজৌরি ও পুঞ্চ সীমান্তেও ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী এই বাহিনী।

এ ব্যাপারে ভারতীও গণমাধ্যম ইন্ডিয়া ট্যুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জম্মু-কাশ্মীরে অন্তত চারবার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে ভারী গোলা বর্ষণ করেছে পাক রেঞ্জার্স। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নওশেরা ও আখনুর সীমান্তে গোলা বর্ষণ করেছে। এছাড়া কানাচক ও শাম্বা সীমান্তেও গুলি ছুড়েছে পাকিস্তান সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে একেবারে খোলা হাতে পাকিস্তানকে জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার জন্যে এবার হেভি অস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারতীয় সেনার জওয়ানরাও। যেভাবে লাগাতার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে তা যুদ্ধের উস্কানি ছাড়া আর কিছু না বলেই মত সামরিক মহলের।

এর আগে আজ মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ু সেনা। ভারতীয় যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০-এর সাহায্যে এদিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।

এদিকে মুজফফরাবাদ সেক্টরের সকল জঙ্গি ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়ে আসে ভারতীয় বায়ুসেনা। মুরি মুড়কির মতো ১০০০ পাউন্ড বোমা বর্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। আর এরপরেই লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি)-তে ব্যাপক গোলাবর্ষন শুরু করে পাকিস্তান সেনা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছাউনি টার্গেট করে এই হামলা চালানো হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। কারণ ভারতের প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তান চুপ করে বসে থাকবে না। আগামীদিনে গোলাবর্ষনের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছে ভারতীয় সেনা। আর সেজন্যে সব দিক থেকে তৈরি হচ্ছে ভারতীয় সেনারাও।