শনিবার আড়াই কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

আগামী শনিবার দেশের প্রায় আড়াই কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ওই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রে এবং ২০ হাজার ভ্রাম্যমান কেন্দ্র থেকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো খাবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালিক এ তথ্য জানান।

বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এবার দেশীয় প্রতিষ্ঠানের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুদের খাওয়ানো হবে। যে ভিটামিন খাওয়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ নিরাপদ। কোনো প্রকার গুজবে কান না দিয়ে ছয় মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৫ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ সাত হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্রাম্যমান ২০ হাজার কেন্দ্রে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরীঘাট, ব্রীজের টোল প্লাজা, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু ব্রীজ, দাউদকান্দি ও মেঘনা ব্রীজ, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে ২ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবে। ক্যাম্পেইন দিবসেই ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে। তবে দুর্গম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ১২ টি জেলার ৪৬টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে ক্যাম্পেইন পরবর্তী ৪ দিন (১০ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি) বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের সার্চিং কার্যক্রম পরিচালনা করে বাদ পড়া শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি ছিল ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইনের নির্ধারিত দিন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আমদানিকৃত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পেইন স্থগিত করে।