সংর্ঘষে, ৩ জন নিহত ও আহত ১৬, মুখ খুললেন বিজিবি পরিচালক

গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় হরিপুর উপজেলায় বিজিবির জব্দকৃত গরু ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় চোরাকারবারিদের সঙ্গে বিজিবির সংর্ঘষে তিনজন নিহত ও ১৬ জন সাধারণ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় পাঁচজন বিজিবি সদস্য আহত হয়। গুলিবিদ্ধরা দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন—বহরমপুর এলাকার নুর ইসলামের ছেলে জয়নুল (১২), হরিপুর উপজেলার রুহিয়া এলাকার নজরুলের ছেলে নবাব (৩৫), মৃত জহিরউদ্দীনের ছেলে সাদেক (৪৫)।

এদিকে গ্রামবাসী-বিজিবির সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় বিজিবি ঠাকুরগাঁও সেক্টরের লেজার ক্যান্টিনে ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে লিখিত বক্তব্যে বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, ভারতীয় ৫টি গরু আটকের পর বহরমপুরে সংঘবদ্ধ একটি চক্র বিজিবির ওপর দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। আত্মরক্ষায় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বিজিবি সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়ে।’

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিবির পরিচালক বলেন, ‘বিজিবির গুলিতে নিহতরা যদি নিরপরাধ হয় তবে সে বিষয়ে পরে জানানো হবে। কত রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়েছে এ প্রশ্নে সঠিক উত্তর দেননি তিনি।’ এ ঘটনায় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল শামসুল আরেফিনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় অন্তত ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- হরিপুরের সিংহারী গ্রামের সফিকের ছেলে সাদেকুল (৩০), একই গ্রামের আবদুল গণির ছেলে সোহেল (৩৫), বহরমপুর গ্রামের আতাহারের ছেলে তৈয়বুর রহমান (৪৫), একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. মুনতাহার (৪৫), রহিমউদ্দীনের ছেলে সাদেক আলী (৩০), মহুবুল হোসেনের ছেলে রাসেল (১৫),

বিশু মোহাম্মদের ছেলে এরশাদ (৩৫), নুর ইসলামের ছেলে রুবেল (১৭), মাঈনুল হকের ছেলে বাবু (২২), আবদুল মান্নানের ছেলে মিঠুন (১৭), আবদুস সালামের স্ত্রী নুর নাহার (৫৫), সিংহারী গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে আনসারুল (২৫), রুহিয়া গ্রামের জাহিদের ছেলে আবুল কাশেম (১৬) এবং পীরগঞ্জ উপজেলার গুয়াগাঁও গ্রামের মোকলেছুর রহমানের শিশুপুত্র লাবিব (৪)।