হঠাৎ পঞ্চগড়ে কঠোর নিরাপত্তা, পুলিশ-বিজিবি মোতায়েন

পঞ্চগড়ের আহমেদনগরে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বার্ষিক জলসা বন্ধ করা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই গতরাতে তাদের ওপর হামলা চালানো, তাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে এখন পুলিশ ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, ঢাকা থেকে আহমদীয়া সম্প্রদায়ের একটি প্রতিনিধি দল গেছে। বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদনে এমন সংবাদ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, এ মাসের ২২ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বার্ষিক জলসা ও মহাসম্মেলনের দিন ঠিক করা হয়েছিল।

‘সেটা যাতে না করা হয়, সে অভিপ্রায় নিয়ে খতমে নবুয়ত নামে সংগঠনটি একই জায়গায় পাল্টা আরেকটি জলসার অনুমতি চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করে।’

‘একই জায়গায় দুটি সংগঠনকে অনুমতি দেয়া যাবে না, সেজন্য আমরা দুটি সংগঠনের সাথেই সমঝোতা করার চেষ্টা করতে থাকি। কিন্তু আলোচনার মধ্যেও খতমে নবুয়ত বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকে।’

‘পরে নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসন আহমদীয়াদের কর্মসূচী বাতিল করে। কিন্তু তারপরেও খতমে নবুয়ত বিক্ষোভ করে এবং তারা আহমদীয়াদের বাড়িঘরে হামলা চালায়।’

এ ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বার্ষিক জলসা আয়োজন করা নিয়ে এ মাসের শুরু থেকেই বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করতে থাকে খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ পরিষদসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সংগঠন। এরপর মঙ্গলবার রাত দশটার পরে কয়েক ঘণ্টা ধরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

হামলা ও সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে অন্তত ২১ জনকে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের আমির হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীও এক বিবৃতিতে আহমদীয়া জলসা বন্ধের দাবি তোলেন।