গতকাল শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের ফইনালের মঞ্চে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার তামিম ইকবাল। আর তাতে হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি পূর্ণ হয় তার। কারণ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এর আগে আরো দুই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তামিম খান ইকবাল।
এদিকে গতকাল তামিমের ৬১ বলে ১৪১ রানের ইনিংসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ঢাকা ডায়নামাইটসের শিরোপার স্বপ্ন। তাছাড়া বিপিএলে এটাই তামিমের প্রথম শিরোপা। এর আগে পাঁচ আসরে একবারও ফাইনালে উঠা হয়নি তার। এবার প্রথম সুযোগেই বাজিমাত করেছেন তামিম। খুনে এক ইনিংস খেলেছেন। গড়েছেন একাধিক রেকর্ড। তবে তার কাছে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি খানিকটা পিছিয়ে আছে।
এদিকে তামিমের চোখে তার টি-টোয়েন্টি সেরা ইনিংস হচ্ছে ১০৩*। যা গত ২০১৬ বিশ্বকাপে ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে তামিম বাংলাদেশকে তুলেছিলেন বিশ্বকাপের মূলপর্বে। ওই ম্যাচটি হারলে বাংলাদেশ ছিটকে যেত বিশ্বকাপ থেকে। তাই মহাগুরুত্বপূর্ণ ওই সেঞ্চুরিকে ‘হাই রেট’ করছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
এ ব্যাপারে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল বলেন, ‘এই ইনিংসের সাথে ওই ইনিংসটিকে পাশাপাশি রাখতে পারব না কারণ হচ্ছে ওইটা ছিল আমার জাতীয় দলের দায়িত্ব। ওই ম্যাচ আমরা যদি হেরে যেতাম তাহলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়। ওমান থাকলেও, চাপ যে কম ছিল তা না। তাই ওই ইনিংসটিকে আমি হাই রেট করি।’
এ সময় তামিম আরও বলেন, ‘আমি সব সময় বলি যে, সেঞ্চুরি যে দলের সাথেই হোক না কেন সেটা অবশ্যই বিশেষ কিছু। কারণ আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতেই হচ্ছে। আজকের (গতকাল) ইনিংসটা নিশ্চিতভাবেই টপে থাকব। যেভাবে আমরা শুরু করেছি, পাওয়ার প্লে’তে খুব বেশি রান ছিল না আমাদের। পরে যেভাবে ব্যাটিং করেছি সেটা দারুণ ছিল। তুলনা করছি না। দুই সেঞ্চুরি আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
এদিকে বিশ্বকাপ ও বিপিএল বাদে তামিম টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ২০১৩ সালে বিজয় দিবস ক্রিকেটে। বিসিবি একাদশের হয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে করেছিলেন ১৩০ রান। সেটাই ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ। এবার তামিম ছাড়িয়েছেন নিজেকে। গড়েছেন ৬১ বলে ১৪১ রানের নতুন কীর্তি।