হঠাৎ বুকের বাম দিকটা ব্যথা, আটকে আসছে দম। তবু মাথা সজাগ ছিল ৫১ বছরের বাস চালক সর্বেশ্বরণের। আর ওই বাসে তখন যাত্রী ছিল প্রায় ৫০ জন। আর সেই বাসের স্টিয়ারিং তিনিই ধরে আছেন, তা ভোলেননি চেন্নাইয়ের এই বাস চালক। তাই নেতিয়ে পড়ার আগে রাস্তার পাশে নিরাপদে আগে বাস দাঁড় করান সেই বাস চালক।
এদিকে এমটিসি-র বাস চালক চেন্নাইয়ের কোয়ামবেড়ু থেকে কাঞ্চিপুরম রুটের বাস চালক সর্বেশ্বরণের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে হার্ট অ্যাটাক হয়। সেই সময় ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে বাস চালাচ্ছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণার মধ্যেও খেয়াল রাখেন যে বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা। কিন্তু সেই অবস্থাতেও রাস্তার পাশে নির্দিষ্ট জায়গায় বাস থামান তিনি।
এ সময় বাস থামিয়ে কন্ডাক্টরকে ডেকে বলেন সব যাত্রীকে বাস থেকে নামিয়ে দিতে। সবাই নেমে গেলে কন্ডাক্টরের সাহায্যে হাসপাতালে যান। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে পৌঁছেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই বাস চালক।
জানা গেছে, ওই বাস চালকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে প্রশাসন। আর্থিকভাবে তাদের সাহায্যও করা হচ্ছে। কাজের অতিরিক্ত চাপের কারণে সর্বেশ্বরণের এভাবে মৃত্যু হলো কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে বাস চালকের জীবনের বিনিময়ে বেঁচে গেল তাজা ৫০টি প্রান।
