স্নাতক পাস ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষকতায় নারীদের নয়

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এর আগে নারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা ছিল এইচএসসি বা সমমান। কিন্তু এবার সংশোধিত বিধিমালায় নারী-পুরুষ সবারই শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হচ্ছে স্নাতক বা সমমান। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত বিধিমালা রবিবার রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করেছেন। শিগগিরই তা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র এই তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

প্রাথমিকের সংশোধিত বিধিমালায় শিক্ষকদের গ্রেড পরিবর্তন করে সহকারি শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে আর প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন প্রদানের কথা বলা হয়েছে। বিধিমালায় বিদ্যালয়ে ‘সহকারি প্রধান শিক্ষক’ নামে নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে। এই নীতিমালার আলোকে পুরুষ প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আগের মতোই দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি রাখা হচ্ছে। সরাসরি সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান শিক্ষক বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

তাছাড়া চলতি মাসেই প্রাথমিক ১৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি- ৪) আওতাভুক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি আগামী সপ্তাহে প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন বিধিমালার অধীনে ওই সার্কুলার প্রকাশ করা হবে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) গিয়াস উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকশূন্য হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে সারা দেশ থেকে শূন্য পদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আলোকে নতুন করে প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।

এদিকে জানা যায়, ১৭ হাজার শিক্ষকের মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ হাজার ও সহকারী শিক্ষক পদে সাত হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।