অশ্বিনকে কঠোর জবাব দিলেন বাটলার

গত ২৫ মার্চ সোমবার আইপিএলে লড়াই ছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব বনাম রাজস্থান রয়্যালসের। আর এই ম্যাচে ঘটল এক লজ্জাজনক ঘটনা। যা নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় বইছে সমালোচনার ঝড়। একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটার হিসেবে কিভাবে এই নিচু কাজটি করলেন। সবার মুখে ছি…ছি অশ্বিন। এটা যে শুধু পাড়ার ক্রিকেটার অথবা চায়ের দোকেন আলোচনায় নয় সমালোচনা চলছে বিশ্বব্যাপী।

সেদিন ম্যাচের ইনিংসের ১৩তম ওভারে নন স্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। অশ্বিন বল করার আগেই ক্রিজ ছেড়ে দেন এ ব্যাটসম্যান। পেছনে ফিরে দেখেন স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়েছেন বোলার। ঘটনার আকস্মিকতায় কিছুটা অবাক হলেও নিয়ম মেনে সাজঘরে ফেরেন বাটলার। তার আউটের পরই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রাজস্থান। শেষ পর্যন্ত হেরে এর খেসারত গুনতে হয়।

টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল হাত থেকে ছোড়ার আগ মুহূর্তেও ক্রিজে ছিলেন বাটলার। অশ্বিন কিছুটা অপেক্ষায় করায় ক্রিজ ছেড়ে সামনের দিকে এগিয়ে যান তিনি। এরপরই বল দিয়ে স্ট্যাম্পের বেল ফেলেন বোলার। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি ইচ্ছা করেই বাটলারকে ‘মানকাডের’ ফাঁদে ফেলেছেন অশ্বিন?

কিন্তু তা মানতে নারাজ অশ্বিন, এটা আপনাআপনিই হয়ে গেছে। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল না। আমি ক্রিকেটের নিয়মের বাইরে কিছু করিনি। নিয়মের বাইরে না গেলে সেটা ক্রিকেটের চেতনা নষ্ট করে কীভাবে? উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। জোর দিয়ে বলেন, এ আউট আইসিসির নিয়মেই আছে।

এদিকে মানকাড় আউটের ক্ষেত্রে যে যুক্তি ব্যবহার করা হয় সেটা হলো ব্যাটসম্যান আগে বের হয়ে রান নেওয়ার ক্ষেত্রে অবৈধ সুবিধা নেন। কিন্তু অশ্বিন বল ছোড়ার ভঙ্গি করার সময়ও বাটলার ক্রিজে ছিলেন। অশ্বিন হঠাৎ করে থেমে যান, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর স্টাম্প ভেঙেছেন।

কিন্তু সেদিকে বাটলারের নজর দেওয়া সম্ভব হয়নি। বাটলার এ ক্ষেত্রে স্বভাবজাত ভঙ্গিতে বোলারের ফলোথ্রু অনুসরণ করছিলেন। ফলে অবচেতনভাবে দাগ থেকে বের হয়ে গিয়েছিল তার ব্যাট।

এরপর ম্যাচটি জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অশ্বিনের কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। তবে খেলা শেষে ঘটে অদ্ভুত ঘটনা। সেটি হচ্ছে, প্রথাগত করমর্দনের সময় অশ্বিনের সঙ্গে হাত মেলাননি বাটলার। যাতে রীতিমত লজ্জায় পড়েন অশ্বিন। অর্থাৎ বুঝাই গেল, এত সহজে বিষয়টি নিষ্পত্তি হচ্ছে না।