আমরণ অনশনে বসেছে রোকেয়া হলের ৫ শিক্ষার্থী

আমরণ অনশনে বসেছেন হলের পাঁচ শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল সংসদ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন ও হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে তারা এ অনশনে বসেছেন। এদের মধ্যে চারজন বিভিন্ন প্যানেল থেকে হল সংসদে প্রার্থী ছিলেন।

বুধবার (১৩ মার্চ) রাত ৯টা থেকে তারা রোকেয়া হলের ফটকে অনশন শুরু করেন।

অনশন কারী ৫ শিক্ষার্থীরা হলেন- ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের রাফিয়া সুলতানা, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সায়েদা আফরিন, একই বিভাগের জয়ন্তী রেজা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শ্রবণা শফিক দীপ্তি ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রমি খিশা।

এদের মধ্যে জয়ন্তী রেজা কোন প্রার্থী না হয়েও রাফিয়া সুলতানা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে রোকেয়া হল সংসদে সহসভাপতি (ভিপি); সায়েদা আফরিন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন থেকে হল সংসদে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস); শ্রবণা শফিক দীপ্তি স্বতন্ত্র জোট থেকে ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদে আর প্রমি খিশা হল সংসদে সদস্যপদে ছাত্র ফেডারেশনের প্রার্থী ছিলেন।

এদিকে, ডাকসুর পুনঃতফসিল ও নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে তারা অনশন করছে। এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন করে যোগ দিয়েছেন আরও তিনজন।

তাদের সবার দাবি ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীসহ সাতজন ও অজ্ঞাতনামা ৪০ জনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়া হলের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

বিষয়টি নিয়ে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, বিক্ষোভকারী ছাত্রীরা যেসব দাবি জানাচ্ছে, তা পূরণের এখতিয়ার আমার নেই৷ আমি কারও বিরুদ্ধে মামলা করিনি৷ অহেতুক মিথ্যা গুজব রটিয়ে মঙ্গলবার রাতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, বিক্ষোভকারী ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছিল৷ কিন্তু তারা সহযোগিতা না করায় তাদের সঙ্গে বসতে পারেনি প্রক্টরিয়াল বডি।