‘এরশাদকে কোন এমপি স্বৈরাচার বললে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়’

আজ (৫ মার্চ) মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেছেন, ‘আমার নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনার জন্য সব সময় শেখ হাসিনার পাশে থাকেন।’

‘যিনি এই দেশের উন্নয়নের অন্যতম রূপকার, সাবেক সফল রাষ্ট্রনায়ক, সাবেক সফল সেনাবাহিনী প্রধান এবং বর্তমানে বিরোধীদলীয় নেতা সেই পল্লীবন্ধু এরশাদকে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে কোন এমপি স্বৈরাচার বললে আমাদের হৃদয়ে শুধু আঘাত লাগে না, রক্তক্ষরণ হয়।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমার নেতার নাম উচ্চারণ করার আগে কোনো ধরনের সম্মানসূচক শব্দ প্রয়োগ করার ব্যাপারেও তারা (এমপিরা) কৃপণতা করেন। এটি আমরা সরকারি দলের বন্ধুদের কাছে প্রত্যাশা করি না।’

এ সময় বাবলা বলেন, ‘প্রায়ই দেখা যায়, সংসদে যে কোনো বিষয়ের ওপর আলোচনার সময় সরকারি দলের কয়েকজন এমপি প্রাসঙ্গিক বা অপ্রাসঙ্গিকভাবে একটি বিশেষ দলের নাম উচ্চারণ করেন এবং সেই দলের নেতা-নেত্রীর নাম নিয়ে সংসদে আলোচনা-সমালোচনা করে বক্তব্য দেন।’

তিনি বলেন, ‘তারা এমন একটি দলের ও দলের নেতাদের নিয়ে সমালোচনা করেন, যে দলটিকে এই দেশের মানুষ বারবার প্রত্যাখ্যান করছে। অথচ সেই দল নিয়ে সংসদে আলোচনা করে জনগণের করের টাকা অপচয় করেন।’

‘প্রথমত তাদের দলের প্রচারের কাজটি সরকারি দলের কয়েকজন এমপি খুব ভালোভাবেই করছেন। শুধু সংসদে নয়, সংসদের বাইরে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ওই বিশেষ দলটি নিয়ে বা দলটির নেতাদের নিয়ে বক্তব্য রাখেন।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে আমাদের দায়িত্ব পালনকে ইতিবাচক ভাবে নিতে পারেননি কথাকথিত কিছু সুশীল সমাজের কর্তাবাবুরা। তারা আমাদের নিয়ে সমালোচনা করে মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়েছেন। মধ্যরাতের টক শো’তে গিয়েও কতিপয় বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক বন্ধু আমাদের সমালোচনা করেছেন।’