কাদেরের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সকাল ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবে

রবিবার ফজরের নামাজের পর হঠাৎ শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দ্রুত বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। প্রথমে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ও পরে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে। কাদেরের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আলী আহসান।

বর্তমানে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় দিনভর ভেন্টিলেটর মেশিনে অচেতন থাকলেও রাতে তার জ্ঞান ফিরে। চোখ মেলে তাকিয়েছেন তিনি। তার উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে, প্রস্রাবও হয়েছে। এমনকি ইশারায় তিনি পানি চাইলে চিকিৎসকরা তাকে নলের মাধ্যমে পানি খেতে দেন।

এদিকে, ওবায়দুল কাদেরের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যেতে রোববার (৩ মার্চ) রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনা হয়। তবে বিএসএমইউর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনার পর সর্বশেষ অবস্থায় তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর নিতে রাজি হননি সেখান থেকে আগত তিন সদস্যের মেডিকেল টিম।

মেডিকেল টিম জানিয়েছেন, ‘ফ্লাইং ইজ রিস্কি।’ ওই টিমে একজন রিট্রিভাল ফিজিশিয়ান, একজন নিউট্রিশনিস্ট ও একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট রয়েছেন। রাতেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সিঙ্গাপুর ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত যায়নি।

একাধিক সূত্রে থেকে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও মেডিকেল টিমের তিন সদস্যকে সোমবার (৪ মার্চ) সকাল ১০টা পর্যন্ত রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা সারাদিনের তুলনায় রাতে কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আরও ৮-১০ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখে প্রয়োজনে সিঙ্গাপুরে পাঠানো যেতে পারে বলে মত দেন বিএসএমএমইউ চিকিৎসকরা। পরবর্তীতে এ অবস্থায় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চিকিৎসক বলেন, সোমবার সকাল পর্যন্ত ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার আর কোনো অবনতি না হলে দেশেই তার চিকিৎসা হবে।