নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছের একটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন । অন্তত ৪৮ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন বাংলাদেশি রয়েছেন। এর মধ্যে ড. আব্দুস সামাদ নামে একজন অধ্যাপকও রয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা ওই মাঠে অনুশীলনে করছিলেন। অনুশীলন শেষে তারা মসজিদটিতে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। তবে তারা মসজিদে প্রবেশের আগেই এই হামলার ঘটনা ঘটায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। এরই মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনে আনার জন্য কোনো আবেদন ছাড়াই পুলিশের হেফাজতে মূলহোতা অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত ব্রেন্টন ট্যারেন্টেকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এদিকে, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় নিহত প্রথম ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। তিনি আফগান নাগরিক। ওই ব্যক্তির নাম দাউদ নবী। তবে আর কারো পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। এ হামলায় নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক রয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য দেশের মতো পাকিস্তান, সৌদি আরব, তুরস্ক দূতাবাস সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে ৭১ বছর বয়সী নবীর ছেলে ওমর বলেন, বাবা বলতেন নিউজিল্যান্ড হলো ‘জান্নাতের একটি টুকরো’।
হামলায় নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক রয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য দেশের মতো পাকিস্তান, সৌদি আরব, তুরস্ক দূতাবাস সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
নিউজিল্যান্ড রেডক্রস হামলার ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় রয়েছে তিন বাংলাদেশির নাম। তারা হলেন- মো. মোজাম্মেল হক, মো. আবদুস সামাদ ও জাকারিয়া ভুইয়া। এছাড়া নিখোঁজের তালিকায় রয়েছেন জর্দান, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সৌদি আরবের নাগরিক। হামলায় নিহতদের মধ্যে অন্তত চারজন সোমালিয়ার নাগরিক। একজন সিরিয়ান শরণার্থী।