নিশ্চিত মৃত্যু যেনেও মুসল্লিদের বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন যে বৃদ্ধ

গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুকধারীদের এলোপাতারি গুলিতে ৫০ জন মারা যান। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৪৮জন। এদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েকজন।এই জঙ্গি হামলার সময় আল নূর মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা।

ভাগ্যক্রমে তারা মসজিদে ঢোকার কিছুক্ষণ আগে এক পথচারীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ফিরে আসেন। ফলে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ক্রিকেটাররা। এ ঘটনায় বাংলাদেশের তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নৃশংস হামলায় আরও কয়েক প্রাণ শেষ হয়ে যেত পারত। তবে মুসল্লিদের ওপর নামাজরত অবস্থায় এমন হামলার সময় কয়েকজনের সাহসী ভূমিকায় বেঁচে যান অনেকে। তাদের মধ্যে সাহসী ভূমিকা রাখাদের একজন দাউদ নবী (৭১)।

তিনি বন্দুকধারীর গুলির সময় অন্য মুসল্লিদের বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এতে গুলিবিদ্ধ হন দাউদ নবী। তবে গুলি খেয়েও অন্যদের বাঁচাতে প্রানান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যান এই বৃদ্ধ।এ সময় দাউদ নবীর ছেলে ওমর নবীরও সেই মসজিদে থাকার কথা ছিল। তবে কাজ থাকায় হামলার সময় মসজিদে যাওয়া হয়নি তার।

এ বিষয়ে ওমর নবী জানান, তার বাবা একজন সাধারণ মানুষ ছিলেন। পেশায় তিনি একজন প্রকৌশলী ছিলেন। আফগানিস্তান থেকে ১৯৮০ সালে নিউজিল্যান্ডে অভিবাসী হন।

তিনি জানান, এ ঘটনার কথা শুনেই ওমর তার বাবাকে ফোন দিতে থাকেন। কিন্তু কেউ ফোন রিসিভ করেনি তখন।

বিষয়টি নিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসির খবরে বলা হয়, দাউদ নবী নিউজিল্যন্ডে আগত সব শরণার্থীদের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিতেন।

এ বিষয়ে ওমর নবী আরও বলেন, শরণার্থীরা আসার সময় তার বাবা বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানাতে যেতেন। যেকোনো দেশরই হোক না কেন।