পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেলেও বাড়ি ফেরা হচ্ছেনা ভারতীয় সেই পাইলটের

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় দেশটির আধাসামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে হামলায় অন্তত ৪৪ সেনা নিহত হয়। আর এর জের ধরে পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত।

ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের আকাশসীমায় বিমান ঢুকে পরায় দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও এক পাইলটকে আটক করে পাকিস্তান। ৬০ ঘণ্টা বন্দি থাকার পর পাকিস্তানের হেফাজতে থাকা ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন ভার্থাম্যান ভারতে ফিরেছেন।

এদিকে দেশে ফিরলেও হলো, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন এই পাইলট? এই প্রশ্ন এখন সবার। বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ভারতের বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজার জানিয়েছে, পাইলট অভিনন্দনের সাহসিকতার প্রশংসা করছে ভারতীয় বিমানবাহিনীসহ দেশটির সাধারণ জনতা।

ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছে পত্রিকাটি বলেছে, তবে দেশে ফিরে দফায় দফায় জেরার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হবে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

দেশটির বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত অভিনন্দন বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল বক্তব্য না আসলেও ভারতীয় বিমানবাহিনীর ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানিয়েছে, আপাতত বাড়ি ফিরতে পারবেন না অভিনন্দন। ওয়াঘাও সীমান্ত থেকে সরাসরি বিমানবাহিনীর গোয়েন্দাদের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে তাকে।

কেননা তার বেশকিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা রয়েছে। অভিনন্দনের ফিটনেস বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তিনি পাক কারাগারে অত্যাচারিত হয়েছিলেন কি-না সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে। দেখা হবে তার শরীরে ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি আছে কি-না। তার পুরো শরীর স্ক্যান করে নিশ্চিত করা হবে যে, পাক কারাগারে তার শরীরে মাইক্রোচিপের মতো কোনো লুকানো প্রযুক্তি ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে কি-না।

এমনকি পাকিস্তানে থাকাকালীন চা পানরত থাকা অবস্থায় যে ভিডিওটি প্রকাশ হয়েছে সেসম্পর্কেও বিস্তারিত জানা হবে অভিনন্দনের কাছে। সামরিক পরিভাষায় পুরো একটি ‘ডিব্রিফিং’ এর মধ্য দিয়ে যাবেন অভিনন্দন।