বিএনপির মানববন্ধনে ওবায়দুল কাদেরের রোগ মুক্তির প্রার্থনা

আজ বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর সুচিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আশু রোগ মুক্তি কামনা করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সবার চিকিৎসা পাওয়া অধিকার আছে। উনাদের এক নেতা বললেন, কাদের সাহেব ও খালেদা জিয়া এক নয়। আমরা বলতে চাই, বেগম জিয়ার কোন ক্ষতি হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।’

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের প্রধান দাবি খালেদা জিয়ার মুক্তি। মুক্ত খালেদা জিয়া যেখানে খুশি সেখানে চিকিৎসা নিয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।

তিনি আরও বলেন, ‘বেগম জিয়া যতই অসুস্থ থাকেন না কেন তিনি নিজের মুখে কখনও বলেননি তিনি অসুস্থ। এখন তিনি বলছেন তিনি অসুস্থ। আমরা দেখেছি যে হুইল চেয়ারে তাকে আনা হয় সে হুইল চেয়ারে ভাল করে পা রাখতে পারেন না। আজকে সরকারের একজন মন্ত্রীকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় অথচ তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ন্যূনতম চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না।’

এ সময় মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বেগম জিয়াকে কোন বিচারিক কারণে নয় রাজনীতিক কারণে কারারুদ্ধ রাখা হয়েছে। তিনি রাজনীতিক প্রতিহিংসার শিকার। আজকে তাকে বন্দি করে সারা বাংলাদেশের মানুষের অধিকার বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমরা যদি আমাদের অধিকার ফিরে পেতে চাই আমাদের দেশনেত্রীকে মুক্ত করার বিকল্প নাই। আর এর একটাই পথ তা হলো গণ আন্দোলন।’

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আজকে সরকার যত বড় বড় কথা বলুক না কেন, তাদের কোন জনপ্রতিনিধিত্ব নাই। তারা গায়ের জোরে অস্ত্রের জোরে সন্ত্রাসের মাধ্যমে ঠিকে আছে। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য একদলীয় শাসনের মাধ্যমে দেশ শাসন কার। যেখানে কারো কোন স্বাধীনতা থাকবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে প্রত্যেক নাগরিকের চিকিৎসা অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে এবং বিএনপির প্রতিটি সৈনিককে এই অধিকার ছিনিয়ে নিতে হবে। কোন স্বৈরাচারী সরকার কোন মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয় না। অধিকার আদায় করে নিতে হয়।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সুস্থতা কমনা করে গণস্বাস্থের ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘যে রোগের চিকিৎসা বাংলাদেশে প্রতিসপ্তাহে কয়েকটা হয়। সে রোগের জন্য অকারণে সিঙ্গাপুর গিয়ে কত কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। আশা করি জনগণের কাছে সরকার একদিন হিসেব দিবে।’