বিক্ষোভে উত্তাল ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে গতকাল সোমবার দুপুরেই ভোট বর্জন করেন ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগ ছাড়া সব প্যানেলের প্রার্থীরা। এ সময় তারা আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট কর্মসূচিও ঘোষণা করেন।

এদিকে গতকাল সোমবার রাতে ফলাফল ঘোষণার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ভিপি পদে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পরাজিত হওয়ার পর তারাও এই ফল প্রত্যাখ্যান করে ভোট বাতিল দাবি করেছেন।

এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নূর ভিপি পদে শোভনের চেয়ে ১ হাজার ৯৩৩ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নূর পেয়েছেন ১১ হাজার ৬২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শোভন পেয়েছেন ৯ হাজার ১২৯ ভোট।

নুরুল হক নূরকে ভিপি ঘোষণার পরই সিনেট ভবনের অডিটোরিয়ামে নির্বাচনকে প্রহসন আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টা থেকে দেড় ঘণ্টা তারা সিনেট ভবনেই ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এরপর ভোরে তাকে উদ্ধার করে বাসভবনে পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ।

আজ ভোর থেকে বিভিন্ন হল থেকে দলে দলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে ভিসির বাসবভনের সামনে অবস্থান নেন। সেখানেই তারা বিক্ষোভ করছেন। পুলিশ ক্যাম্পাসে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ছাত্রলীগের অভিযোগ, কোটা আন্দোলনের নেতা নূর ছাত্রশিবিরের কর্মী। প্রশাসন ভারসাম্য আনার জন্য শিক্ষার্থীদের ভোট ম্যানুপুলেট করে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে।

এদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস এলাকায় সব গাড়ি আটকে দিয়েছেন। এতে করে হঠাৎ করেই এই রুটে চলাচলকারীরা বিপাকে পড়েছেন। ক্যাম্পাসে অবস্থিত উদয়ন ও ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। বাধ্য হয়ে উদয়ন স্কুল কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করেছে।

এ সময় অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত জিএস গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘নূর ছাত্রশিবির। আমরা তাকে ভিপি হিসেবে মেনে নেব না। আমরা এই ফল মানি না। আবার নির্বাচন দিতে হবে।’