বিতর্কিত আউট করে খলনায়ক অশ্বিন

মানকাড় আউট একটা সময় অপরিচিত হলেও এখন আর এটা ক্রিকেটে অপরিচিত নয়। বোলার বোলিংয়ের সময় যদি ননস্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যান বল ছোড়ার আগেই ক্রিজ ছেড়ে বেড়িয়ে যায় তাহলে বোলার বল না ছুড়ে আউট করাকেই মানকাড় আউট বলে।

এভাবে আউট করলে আম্পায়ারের আর কিছু করার থাকে না। যদি ফিল্ডার দলের অধিনায়ক আউট ফিরিয়ে নেয় তাহলেই কেবল সম্ভব। ভদ্র লোকের খেলা ক্রিকেটে সাধারণত প্রথমবার সতর্ক করে দেয়া হয় ব্যাটসম্যানকে। কিন্তু এবার আইপিএলে সেই সতর্কের ধার ধারলেন না অশ্বিন। ম্যাচ জিততে হবে তার।

১৩তম ওভারের শেষ বল। জয় থেকে ৭৭ রান দূরে রাজস্থান রয়্যালস। বল করতে যাচ্ছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বল করতে গিয়ে দেখলেন, উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে আছেন ননস্ট্রাইকে থাকা বাটলার। বল না করে স্টাম্প ভেঙে দিলেন। হতভম্ব বাটলারের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে আম্পায়ার–তৃতীয় আম্পায়ারের সহযোগিতা চাইলেন। আউট! ব্যস, জমে উঠল বিতর্ক।

এই আউটের সময় সাধারণত যে যুক্তি আসে তাহল, রান নেয়ার জন্য ব্যাটসম্যান আগে বেড় হয়ে অবৈধ সুবিধা নিতে চায়। কিন্তু অশ্বিন বল করার ভঙ্গি করার সময়ও বাটলার ক্রিজেই ছিলেন। এরপর হঠাৎ অশ্বিন থেমে যায় এবং কিছুক্ষন অপেক্ষা করে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন।

বাটলারের অবশ্য সেদিকে নজর দেয়ার উপায় ছিল না। স্বভাবজাত ভঙ্গিতে বোলারের ফলোথ্রু অনুসরণ করছিলেন। অবচেতনভাবে দাগ থেকে বের হয়ে গিয়েছিল তাঁর ব্যাট।

এমন ক্ষেত্রে আম্পায়ারের করার কিছু থাকে না। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থে ও ভদ্রতার খেলা বলে ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে আনলে আলাদা কথা। কিন্তু অশ্বিন নিজেই যে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক। ক্ষুব্ধ বাটলার প্রশ্ন ছুড়ে দিলেও অশ্বিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভদ্রতা কিংবা ক্রিকেটীয় চেতনা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই তাঁর। ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে অধিনায়ক বানিয়েছে দল জেতানোর জন্য।

বাটলার যদি এই ম্যাচে এভাবে আউট না হত তাহলে হয়তো পাঞ্জাবের আর জেতা হত না। ৪৩ বলে ৬৯ রান করে এভাবে বিতর্কিত আউটে ফিরেন বাটলার।