সিলেট নগরীর শেখঘাটের ফজলে রাব্বি তানভীর মাত্র চার মাস আগেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। যে কারণে তার এখন আনন্দে-উল্লাসে দিন কাটানোর কথা ছিল। কিন্তু ঘটলো অন্য ঘটনা। হঠাৎ গত শুক্রবার শেখঘাটের শুভেচ্ছা-৮০নং বাসা থেকে দরজা ভেঙ্গে তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার তলপেটে ছিল গভীর ছুরিকাঘাতের চিহ্ন।
পুলিশ বলছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে আত্মহত্যার কারণ খুঁজছে পুলিশ। সে শেখঘাটের অ্যাডভোকেট মৃত আবুল ফজলের ছেলে তানভীর।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে খাওয়া দাওয়ার পর নিজের রুমে শুতে যান তানভির। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ডাকতে যান তার মা। অনেক ডাকাডাকির পরে সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙ্গে তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, মাত্র চার মাস আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তানভীর। গত বছরের ২৩ নভেম্বর ছিল তার বিয়ের দিন। ওইদিন নিজের নবপরীণিতার সাথে যুগল একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। বিয়ের রঙ ভালো করে মুছে না যেতেই আত্মহত্যা করেছেন তানভীর।
তবে কেন এই আত্মহননের পথে হাঁটলেন তানভীর, তারই অনুসন্ধান করছে পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে নগরীর লামাবাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা বদ্ধ ঘর থেকে তানভীরের লাশ উদ্ধার করি। তলপেটে ছুরিকাঘাতে এক থেকে দেড় ইঞ্চি গভীর ক্ষত ছিল তার। ছুরিকাঘাত করে তিনি ছুরির হাত ধরে রেখেছিলেন। আমরা গিয়ে ছুরি থেকে তার হাত সরাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘তানভীরের আত্মহত্যার পেছনের কারণ খোঁজছি আমরা। অপমৃত্যু মামলাও দায়ের করা হচ্ছে।’
