ভোট বর্জনকারীদের তিন দিনের আলটিমেটাম

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ প্যানেলের নুরুল হক নুর সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

অনুষ্ঠিত হওয়া এ নির্বাচনে ২৫তম ভিপি হিসেবে ডাকসুর গৌরবমাখা ইতিহাসের অংশ হলেন তিনি। আর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হিসেবে জয় পেয়েছেন গোলাম রাব্বানী এবং এজিএস হিসেবে জয় পেয়েছেন সাদ্দাম হোসেন। আর তারা দুইজনই ছাত্রলীগের ব্যানারে নির্বাচন করেন।

সোমবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে নির্বাচনের এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

এদিকে, আগামী তিন দিনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের পুরো ফলাফল বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভোট বর্জনকারী পাঁচটি প্যানেল।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১২টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তারা অবস্থান নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, ১১ মার্চের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় তফসিল দিতে হবে। যারা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে। এই দাবিতে আমরা আগামীকাল দুপুর ১২টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান করবো। লিখিত বক্তব্য দেবো, তার সাথে তিন দিনের আল্টিমেটাম দেবো। তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন বাতিল না করলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেবো।

এর আগে ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হওয়া নুর দুইটি পদ বাদ দিয়ে অন্যগুলোতে নির্বাচনের দাবি জানালেও, পরে তিনিও তার ওই বক্তব্য থেকে সরে এসে সব পদেই নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তবে তিনি নিজে কোনো কর্মসূচির ঘোষণা না করেননি। অবশ্য অন্যদের কর্মসূচিতে তার সম্মতি রয়েছে।