মর্গে বেজে উঠলো নিহতের রাব্বির ফোন

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ২১-তলা বিশিষ্ট বনানীর এফ আর টাওয়ারের ৯ তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটানায় ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নেভানো ও হতাহতদের উদ্ধারের কাজ করে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, রেড ক্রিসেন্টসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত অনেক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করে।

প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ৭টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়। এখন পর্যন্ত ২৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে কর্তৃপক্ষ। ৭০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক), কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের কয়েকজনের মরদেহ। রাত ১০টার দিকে মর্গে আনা হয় সাতটি লাশ। আর তখনো তারা অজ্ঞাত। ঠিক এমন সময় একটি মরদেহের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। আর তাতেই মিলে একজনের পরিচয়।

মোবাইল ফোন বেজে ওঠা ওই যুবকের নাম ফজলে রাব্বি (২৭)। বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ভূইগড়ে। সঙ্গে থাকা ফোন বেজে উঠলে তা বের করে কথা বলেন লাশের সঙ্গে থাকা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের একজন কর্মী। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে তার পরিচয় জানালেন রাব্বির বড় বোন শাম্মী আক্তার।

রাব্বির শাম্মী আক্তার জানান, ফজলে রাব্বি এফ আর টাওয়ারের ১১ তলার ইউরো সার্ভিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।