আজ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম প্রকল্পের উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নয়ন করতে হবে। তবে এই উন্নয়ন করতে গিয়ে যেন গরিব মানুষের জীবন ও জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সেদিকে সংশ্লিষ্টদের নজর রাখতে হবে। মানুষের ক্ষতি করে উন্নয়নের দরকার নেই।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায়, প্রকল্প করতে গিয়ে মানুষের জমি অধিগ্রহণ করতে হয়। তারা যেন সময়মতো জমির যথাযথ মূল্য পায়, তাতে দৃষ্টি দিতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রীর ‘স্পিচ রাইটার’ মো. নজরুল ইসলাম।
এদিকে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী নিয়ে বড় অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। জাপানের সহায়তায় মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ এই পরিকল্পনার অংশ। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলও হচ্ছে সেখানে।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম হলে কেবল ওই অঞ্চলেই নয় পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এক সময়ে কক্সবাজারে কিছুই ছিল না। পুরো কক্সবাজারে লবণ চাষ হত ও পান চাষ হত। এখন কক্সবাজারকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।’ তাছাড়া কক্সবাজারের জনগণের মতামত নিয়েই এই উন্নয়ন কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আবারও তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এ সময় অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব, প্রকল্পের জাপানি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
