যেসব কঠিন রোগের মহা ঔষধ পেঁপে

মানুষের দৈনিক খাওয়ার তালিকায় অন্যতম ফল পেঁপে। পেঁপে ফলের পাশাপাশি সবজি হিসেবেও অন্যতম। পেঁপে নিছক সবজি কিংবা ফল নয়, এর অনেক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। আর এই একটি ফল নানা ধরনের রোগবালাইয়ের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে ভূমিকা পালন করে।

হজমক্ষমতা :

পেঁপেতে থাকে পর্যাপ্ত এনজাইম। এর ফলে এটি খাবার হজমে দারুণ সহায়ক। যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা নিয়মিত পেঁপে খেতে পারেন।

রোগ প্রতিরোধ :

পেঁপেতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ এবং ‘ই’। এই ভিটামিনগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

অর্শ ও কৃমিনাশক:

কাঁচা পেঁপের অন্যতম একটি গুণ হল। কাঁচা পেঁপের আঠা চিনি বা বাতা্সোর সাথে মিশিয়ে খেলে অর্শ ও জন্ডিস সহ লিবারের নানা রোগ ভালো হয়। এ আঠা প্রতিদিন সকালে ৫- ৭ ফোটা আঠা বাতাসার সাথে মিসিয়ে খেলে অর্শের রক্ত পড়া বন্ধ হয়। ব্রন আচিল জিভের ঘায়ে এ আঠা লাগলে খুব উপকার হয়।

চোখ ও ত্বকের সুরক্ষা :

পেঁপে ভিটামিন ‘এ’সমৃদ্ধ। চোখ ও সুন্দর ত্বকের জন্য এই ভিটামিন একরকম অপরিহার্য। এ কারণে চোখ ও ত্বকের সুরক্ষায় পেঁপে দারুণ উপকারী।

ব্রণের দাগ কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায় :

ব্রণের সমস্যা কারণে মুখে খুব বাজে ধরনের দাগ তৈরি হয়। এই বাজে দাগগুলো নিরাময় করতে পারে সুমিষ্ট এই ফলটি। মুখের অন্যান্য যেকোনো দাগ যেমন মেছতা, ফুস্কুরির দাগও খুব সহজেই দূর করে দিতে পারে। মুখের বিভিন্ন দাগ দূর করার পাশাপাশি পেঁপে ফলটি মুখের উজ্জ্বলতাও ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।

কোলেস্টেরল :

পেঁপেতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। এ কারণে এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিনের খাবারে চোখ বন্ধ করে পেঁপে রাখা যেতে পারে।

চুলের যত্নে:

চুলের যত্নে পেপে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে। টক দইয়ের সাথে পেপে মিশিয়ে চুলে মাখলে চুলের গোরা শক্ত হয় ও চুল ঝলমলে হয়। ১ চামচ পেপের আঠা ৭/৮ চামচ পানি দিয়ে ফেটে চুলের গোড়ায় কিছুক্ষন রেখে ধুয়ে ফেললে উকুন মরে যায়।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে :

পেঁপে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ফ্লেভানয়েড, লুটেইন ও ক্রিপ্টোক্সান্থিন সমৃদ্ধ। এ কারণে ফুসফুস ও অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে এটি দারুণ সহায়ক।