সরকার আমাকে ব্যবহার করেছে: কুদ্দুস বয়াতি

সম্প্রতি ফেসবুকে ২ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় নিজের ক্ষোভ আর আক্ষেপের কথা জানালেন লোকগানের মহাতারকাখ্যাত গায়ক কুদ্দুস বয়াতি।

ভিডিও বার্তায় কুদ্দুস বয়াতি বলেন, ‘আমি গান গাইলাম বিশ্বজুড়ে, লেখাপড়ায় আমি আগগাইলাম। এ দেশে যদি আমি না হইতাম, বঙ্গবন্ধু না হইত, তো এ দেশে কিন্তু কিছুই হইতো না। আমি কুদ্দুস বয়াতি না হইলেও, লেখাপড়ার দিকে অসুবিধা হইতো। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা বাজাইয়া ইস্কুলে নিলাম, ডিজিটালে রূপ দিলাম দেশ। কিন্তু আমি খাওন পাইলাম না, সম্মান পাইলাম না, ইজ্জত পাইলাম না। আমি রাজাকারের মতো চলছি। আমাকে রাজাকাররে যেভাবে চালায়, এভাবে চালাচ্ছে। যে কোনো সরকার আইছে, আমাকে ব্যবহার করছে। কেন ব্যবহার করবে, আমি কি পুতুল একটা?’

কুদ্দুস বয়াতি আরও বলেন, ‘আমি কাজ করেছি দেশের জন্য, শিক্ষার জন্য। কত নাটক করেছি, কত কিছু করেছি। কি জন্য করেছি, খাওয়ার জন্য করছি না? তোমরা সবাই ডিজিটাল হবে, আমি ডিজিটালে গান গাবো তোমাদের সাথে। আমার কি আশা ছিল না? কিন্তু আজকে আমার খাদ্যনালী পইচা গেলগা। নষ্ট হইয়া গেল, কার জন্য হইছে? এই বাংলাদেশের জন্য, এই গান গাওয়ার জন্য, এই সবাইকে শিক্ষিত বানানোর জন্য। প্রত্যেকটা ঐতিহ্য ঠিক রাখার জন্য আমি গাইয়া গেছিলাম।’

এ সময় অতীতের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘হুমায়ূন স্যারের কথা আমার মনে আছে, সবার কথা মনে আছে। সবাই বলে, আমি সরকারি কাজ করেছি। কিন্তু সরকারের তহবিলে টাকা আসিল না, যে আমাকে একটু দেখবে। কেউ দেখলো না।’

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুদ্দুস বয়াতি বর্তমানে ভারতের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার সঙ্গে আছেন স্ত্রী পাপিয়া কুদ্দুস পিউ।

এ সময় ভিডিওতে নিজের শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরেন কুদ্দুস বয়াতি বলেন, ‘আমার এই বুকটা জড়জড়িত হয়ে গেছে। খাদ্যনালী চিকন হইয়া গিয়া, এমন শুকান শুকাইছে, আজ ২০ দিন ধইরা খাদ্যনালী বন্ধ হইছে। খাওয়া যায় না।’ তাছাড়া চিকিৎসকরা খাদ্যনালীর সমস্যার সমাধানের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, খাদ্যনালীর সমস্যায় শিল্পীরা যাতে না ভোগে, সে জন্য তিনি কিছু করবেন। সুস্থ হয়ে যাতে তিনি আবার দেশের মাটিতে এবং গানে ফিরতে পারেন, সে জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।