হঠাৎ সীমান্তে গোলাগুলি, ভারতীয় সেনা নিহত

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর অন্তত ৪৯ জন সদস্য নিহত হয়। এ আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ। ভারত এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে বলে দাবি করে আসছে। তবে বরাবরই অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।

পরবর্তীতে ২৬ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। এ হামলায় ২০০ থেকে ৩০০ জঙ্গি নিহত হয় বলে ভারত দাবি করলেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করে। এরপর পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় দুই যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করেন পাকিস্তানি সেনারা। এ সময় ভারতীয় এক পাইলটকে আটক করে পাকিস্তান।

পরে অবশ্য শান্তির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বন্দি পাইলটকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর থেকে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।

এদিকে, সীমান্তরেখায় গোলাগুলিতে পাকিস্তানী বাহিনীর গুলিতে এক ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে রাতভর দু’পক্ষের গোলাবর্ষণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে শুরু হওয়া এ গোলাগুলি রোববার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, গুলিবিদ্ধ ওই সেনাকে শনিবার রাতেই সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। হারি ওয়াকার নামের ভারতীয় ওই সেনা রাজস্থানের বাসিন্দা ছিলেন।

এ ঘটনা নিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, সীমান্তের শূন্য রেখায় পাক রেঞ্জার্স অস্ত্র বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে।এ মাসে তা শতভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তান ২০১৮ সালে ২ হাজার ৯৩৬ বার অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ ভারতের। গত বৃহস্পতিবার সুন্দরবন সেক্টরে যশ পাল নামে ভারতীয় একজন রাইফেলম্যান নিহত হয়েছে।