হিরো আলমের সঙ্গে ঘরসংসার করবেন সুমি

বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে মারপিট করেন। আর এ ঘটনায় দায়ের করা স্ত্রী ও শ্বশুরের মামলায় জেলহাজতে রয়েছেন তিনি। দুদফা জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে জেলের সেলে তার দিন কাটছে বসে, শুয়ে ও ঘুমিয়ে।

স্ত্রীর করা মামলায় গত ৭ মার্চ জেলে যাওয়ার পর জনপ্রিয় এ কমেডিয়ানকে শুধু একদিন দেখতে গিয়েছিলেন তার বাবার পরিবার। ৭ মার্চ বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির কর হয়। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান স্বপন জামিন চাইলে শুনানি শেষে বিচারক আহম্মেদ শাহরিয়ার তারিক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে, হিরো আলমের আইনজীবী মাসুদার রহমান স্বপন জানান, যৌতুক না পেয়ে নির্যাতন মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম তার জামাতা হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। সমঝোতা হওয়ার পর তিনি এ ব্যাপারে আদালতে এফিডেভিট করেন।

মাসুদার রহমান স্বপন জানান, সোমবার সাইফুল ইসলাম, তার মেয়ে সাদিয়া আক্তার সুমি ও তার দুই সন্তান আদালতে আসেন। সাইফুল ইসলাম আপসনামার ভিত্তিতে হিরো আলমের জামিন প্রার্থনা করেন।

হিরো আলমের সঙ্গে ফের সংসার করতে চান তার স্ত্রী সাদিয়া আক্তার সুমি। যে কারণে হিরো আলমের জামিনও চেয়েছেন তার স্ত্রী ও নারী নির্যাতন মামলার বাদী শ্বশুর সাইফুল ইসলাম। সুমি আদালতকে জানান, তিনি হিরো আলমের সঙ্গে ঘরসংসার করবেন।

এদিকে, হিরো আলমের জামিন চাওয়ায় আদালত তার স্ত্রী সাদিয়া আক্তার সুমি ও শ্বশুর সাইফুল ইসলামকে ভর্ৎসনা করেছেন। সোমবার আপসনামা জমা দিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চাইলে শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার তাদের ভর্ৎসনা ও জামিন নামঞ্জুর করেন।

হিরো আলমের বিরুদ্ধে করা মামলায় বাদী তার মেয়ে সুমিকে মারধর ও জামাই হিরো আলমের দ্বিতীয় বিয়ের প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হন। তখন আদালত তাদের দুজনকে ভর্ৎসনা করেন। পরে বিচারক হিরো আলমের জামিন নামঞ্জুর করে আগামী ১৮ এপ্রিল জামিন আবেদনের পূর্ণাঙ্গ শুনানির দিন ধার্য করেন। তার উপস্থিতিতে জামিন শুনানি হবে।