অবশেষে নুসরাতের সহপাঠী শম্পা আটক

গত ৬ এপ্রিল নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।এরপর নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার রাতে মারা যান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দাদির কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাকে।

এদিকে, ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মা শিরিন আক্তার জানিয়েছেন, তার মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে বেত দিয়ে পিটিয়েছিলেন তিনি।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সোনাগাজী উপজেলার উপজেলার চর চান্দিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে ২৭ মার্চ শ্নীলতাহানির ঘটনার পরবর্তী অবস্থা বর্ণনা করে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

শিরিন আক্তার বলেন, ‘ঘটনা শুনেই আমি মাদ্রাসায় গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি অধ্যক্ষ হাত-পা ছেড়ে বসে আছেন। মেয়েকে শ্নীলতাহানির বিষয়ে প্রশ্ন করার পর তিনি আমাকে রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের ভয় দেখান। আমি ভীত না হয়ে সামনে পাওয়া একটি বেত দিয়ে অধ্যক্ষকে কয়েকবার বেত্রাঘাত করি।’

নুসরাতের মা বলেন, এ অবস্থা দেখে অনেকেই জড়ো হয়ে যান। সেখানে বসেই আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছি। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বিষয়টি চেপে যেতে বলেন।

তিনি বলেন, অনেক আগে থেকেই মাদ্রাসার অধ্যক্ষের অপকর্মের কথা শুনে এসেছি। আমরা আলিম পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর নুসরাতকে অন্য মাদ্রাসায় নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করেছি। তার আগেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে নুসরাত চিরবিদায় নিল।

এদিকে, রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সরাসরি অংশ গ্রহণ করা উম্মে সুলতানা পপি ওরফে শম্পাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানানো হয়নি পুলিশ থেকে।