এটি বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ দল: মোহাম্মদ আশরাফুল

বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে খেলোয়াড়দের নাম জানালেন মিনহাজুল আবেদী নান্নু এবং হাবিবুল বাশার সুমনের সমন্বয়ে নির্বাচক কমিটি। এই স্কোয়াডে যায়গা হয়নি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে প্রত্যাশিত ভাবেই রয়েছেন বড় সব তারকা। এই স্কোয়াডে দুই একটা চমক। সেই চমক হলেন আবু জায়েদ রাহি।

মাশরাফি বিন মুর্তজাকে অধিনায়ক করে ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াডে ইমরুল কায়েস ও তাসকিন আহমেদকে বাদ দেয়ায় কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন। আর এসব নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, এটি বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ দল। ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে বিবেচনা করলে ১০টি দলের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রাখা যায়। হ্যাঁ, দলের বেশ কয়েকজনের ইনজুরি আছে। তবে সেটা মেজর নয়। এছাড়া লিটন দাস, সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকার ফর্মে নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে তারা ভালো করতে পারছে না। এর মানে এই নয় যে, বিশ্বমঞ্চে পারবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরীক্ষিত ক্রিকেটার তারা।

সৌম্যের বিষয় নিয়ে মোহম্মদ আশরাফুল বলেন, সৌম্যের কথাই বলি। সে দারুণ প্রতিভাবান। একটা ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ালে ফের ফর্মে চলে আসবে। সাব্বির ও লিটনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তামিমের ওপেনিং সঙ্গী সৌম্য বা লিটন যেই হোক না কেন, আশা করি, শুরুটা ভালো হবে। মুশফিক, সাকিব ও মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে কোনো সংশয় নেই। নিজেদের দিনে তারাই সেরা।

বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, ইনজুরি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। এতে কারো হাত নেই। ইংল্যান্ডের গ্রীষ্মকালে বিশ্বকাপ শুরু হবে। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ওই সময় ব্যাটসম্যানরা সেখানে দারুণ সুবিধা পাবে। প্রায় ম্যাচেই ৩০০’র কাছাকাছি রান হবে। তাই এবার বোলারদের জন্য বিশ্বকাপ কঠিন হবে। মাশরাফির সঙ্গে পেস আক্রমণে আছে মোস্তাফিজ ও রুবেল। তারা অনেক অভিজ্ঞ ও প্রতিভাবান। ভালো ফর্মে আছে সাইফউদ্দিন। স্বাভাবিকভাবেই তার দলে স্থান পাওয়া নিশ্চিত ছিল। অবশ্য রাহীর ওয়ানডে অভিষেক হয়নি। তবে তার বলে যথেষ্ট সুইং আছে। সর্বোপরি, সেখানে পেসারদের সেরাটাই দিতে হবে।

সাকিব-মিরাজ তাদের সেরাটা দিতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, স্পিনে সাকিব আছে। তার সঙ্গে মিরাজ। আমার মনে হয় তারাই যথেষ্ট। কারণ, ইংলিশ কন্ডিশনে স্পিনারদের বেশি কিছু করার থাকবে না। কম্বিনেশন বিবেচনায় আমি এই দলের কাছে বড় কিছু আশা করি। আমার মনে হয়, নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে ফাইনালও খেলতে পারবে টাইগাররা।

তবে আরেকটি চ্যালেঞ্জ আছে জানি সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ভাবনার বিষয়টা একটাই। এবারের ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসরে অনেক ম্যাচ খেলতে হবে। তাই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা হবে আরেকটি চ্যালেঞ্জ। বেশি ম্যাচ হলে সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি।