এবার আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারকে হত্যার হুমকি

আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারকে হত্যার হুমকি। এ ব্যাপারে আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে আহনাফ তাজওয়ার আইয়ুব জানালেন, তার মা ও বোনকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে কানাডা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে পড়াশোনা করছেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায়।

ফেসবুকে তিনি এক ইংরেজি্তে দেওয়া স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি অনেকদিন ধরেই এই বিষয় নিয়ে চুপ ছিলাম। কিন্তু এখন আর না! আমি জানি আমার বাবা, আমার অথবা আমার বোনের ব্যক্তিগত সম্পত্তি না। তিনি আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। তাঁর মিউজিক দিয়েই তিনি আমাদের সবার মঝে চিরদিন বেঁচে থাকবেন।

বাবা মারা যাওয়ার পর এলআরবি’র অবশিষ্ট সদস্যদের কাছে আমি এবং আমার পরিবার অনুরোধ করেছিলাম যদি ব্যান্ডটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই হয়, তবে সেটি যেন হয় অন্য কোন নামে। তাহলেই আমার বাবার কাজগুলো অক্ষত রয়ে যাবে।

আসলে আমার বাবার মৃত্যুর মাধ্যমেই ব্যান্ডটির সমাপ্তি ঘটেছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাঁর মিউজিকও শেষ হয়ে যাবে। আমার বাবা নিজ হাতে ব্যান্ডটিকে গড়েছিলেন; তাঁর জায়গা অন্য কারো পরিবর্তন কোনদিন হতে পারে না। আমি যদি আমার বাবার শতভাগের একভাগও হতে পারি তাহলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করবো।

তাই আমি আবার জায়গায় অন্য কাউকে কোনদিন মেনে নিতে পারবো না। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা শুধু এতটুকুই চেয়েছিলাম। কিন্তু পুরো ঘটনাটি এখন ভিন্ন রূপ নিয়ে নিয়েছে। আমার মা এবং বোনকে লোকজন মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছে।

আমি প্রায় এক হাজার কমেন্টস দেখেছি যেখানে লোকেরা বলছে আমার বাবা শুধুমাত্র আমার সম্পত্তি নয়। অবশ্যই তিনি আমার একার না। তিনি সমগ্র বাংলাদেশের। কিন্তু দিন শেষে তিনি আমার বাবা ছিলেন। আমি তাঁর রক্ত! সে কারণেই আমি এলআরবি’র (অথবা বালাম অ্যান্ড দ্য লিগেসি) অবশিষ্ট সদস্যদের অনুমতি দিচ্ছি এলআরবি’র নামেই গানগুলো পারফর্ম করার। যেমনটি তারা আগে চেয়েছিলেন। তাদের জন্য রইলো আমার শুভকামনা।

তারা যেন সফলতার চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছাতে পারেন এবং আমার বাবার মিউজিককে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন সেই কামনা করি। আর যারা আমাকে, আমার বোন এবং মাকে অভিশাপ দিয়ে মনে মনে শান্তি পাচ্ছেন তাদের জন্যও রইলো আমার শুভকামনা।

আশা করি আপনারা জীবনে কম হিংসাপরায়ণ হবেন। আপনারা আমাকে অভিশাপ দিতে পারেন কিন্তু আমার কাছে এর থেকে আরো বেশি কষ্টের হলো আমার বাবাকে হারানো। আমার বাবা আর আমার সাথে নেই। এর থেকে বেশি কষ্টের আর কিছু হতে পারে না।

এবং আমার বাবার ফেসবুক প্রোফাইল বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য যারা আমাকে এবং আমার বোনকে দোষারপ করছেন তাদের জন্য একটি প্রশ্ন- আপনি কী ঘুমোতে যাওয়ার আগে আপনার বাবার ভয়েস ম্যাসেজগুলো শোনার একমাত্র পথটিও কোনো দিন বন্ধ করে দেবেন?