বিনা ভোটে মেয়র, এরপরও ব্যয় ১১ কোটি টাকা

নবগঠিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু। এর জন্য প্রথমবারের মতো দেশের দ্বাদশ এই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও নগরপিতা নির্বাচনে ভোট দিতে হবে না ভোটারদের।

এদিকে গতকাল ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে মসিক নির্বাচনে মেয়র পদে বৈধ ঘোষিত দুই প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জাহাঙ্গীর আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। এর ফলে মেয়র পদে একক প্রার্থী হিসেবে থেকে গেলেন ইকরামুল হক টিটু।

আগামী ৫ মে এমসিসি নির্বাচনে সবকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে ইলেকক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। যদিও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় মেয়র নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ইকরামুল হক টিটু। ফলে মেয়র পদ ছাড়াই এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানে ব্যয় হবে ১১ কোটি টাকারও বেশি, যার সিংহভাগই খরচ হবে ইভিএমের পেছনে।

এ ব্যাপারে ইসি কর্মকর্তারা জানান, মেয়র পদে ভোট না হলেও কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে নির্বাচন পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ইভিএম- এ তিন খাতে ১১ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হতে পারে।

এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় হওয়ার সম্ভাবনা দেড় কোটি টাকা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি। বাকিটা ইভিএমের পেছনে ব্যয় হবে।

এদিকে ইসির বাজেট শাখা জানায়, ইভিএম মেশিনগুলোর দাম ধরা রয়েছে, যেটা পরবর্তীতে আর কাউন্ট হবে না। এটা এককালীন। তার পর তো কমে আসবে। আর যেহেতু সব কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোট হবে, তাই প্রশিক্ষণও হবে বড় আকারে। মক ভোটিংও নিতে হবে সব কেন্দ্রে, সেটারও ব্যয় আছে।

ইভিএম পরিচালনার জন্যও আলাদা ব্যয় হবে। সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা নিতে হতে পারে, সে ব্যয়ও যোগ হবে। কাজেই সব মিলিয়ে ইভিএমের পেছনে ব্যয়টা বেড়ে যায়।

নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে ইভিএম প্রস্তুত করে নিচ্ছে। প্রতিটি ইভিএমের দাম পড়ছে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। এমসিসি ভোটে ১৩০টি কেন্দ্রের প্রতিটিতে তিনটি করে ৩৯০টি ইভিএম ব্যবহার হবে।