শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩২১ জনে দাঁড়িয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন আরো ৫ শতাধিক মানুষ। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব ইস্টার সানডে উপলক্ষে গির্জাগুলোতে বিশেষ প্রার্থনা চলছিল। এই সময়ই চালানো হয় ভয়াবহ হামলা।
রবিবার (২১ এপ্রিল) ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় গির্জা ও হোটেলসহ মোট আটটি স্থানে বোমা হামলা হয়েছিলো। ওই হামলায় হতাহতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে মঙ্গলবার দেশ জুড়ে একদিনে শোক দিবস পালিত হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ইস্টার সানডের দিনে যে ভয়াবহ হামলা হয়েছে তাতে নিহত হয়েছেন ৩২১ জন। সরকার বলছে, স্থানীয় চরমপন্থীরা হামলা চালালেও এর পেছনে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক জড়িত আছে।
এদিকে, শ্রীলংকায় ইস্টার সানডেতে রেস্তোরাঁয় বোমা হামলায় গুরুতর আহত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের জামাতা মশিউল হক চৌধুরীর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তার লিভারে পাওয়া গেছে বোমার স্পিল্টার। এ হামলায় নিহত নাতি জায়ান চৌধুরীর জানাজাস্থল বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি মাঠ দেখতে এসে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন শেখ সেলিম।
তিনি জানান, তার জামাতা মশিউল হক চৌধুরী এখনও শঙ্কামুক্ত নন। তবে আগের চেয়ে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছুই বলা যাবে না। মশিউল এখন শ্রীলংকার আনশ্রী সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
শেখ সেলিম বলেন, মশিউলের শরীর থেকে তিন লিটার রক্ত বের হয়ে গেছে। অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। লিভারে বোমার স্প্লিন্টার পাওয়া গেছে। পাকস্থলীও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন আইসিইউতে আছে। ৭২ ঘণ্টা পার না হলে কিছু বলা যাবে না। তার পায়ের যে অবস্থা তাতে এখন হাসপাতাল থেকে সরানো সম্ভব নয়।