শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩১১ জনে দাঁড়িয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন আরো ৫ শতাধিক মানুষ। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব ইস্টার সানডে উপলক্ষে গির্জাগুলোতে বিশেষ প্রার্থনা চলছিল। এই সময়ই চালানো হয় ভয়াবহ হামলা।
রবিবার (২১ এপ্রিল) ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় গির্জা ও হোটেলসহ মোট আটটি স্থানে বোমা হামলা হয়েছিলো। ওই হামলায় হতাহতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে মঙ্গলবার দেশ জুড়ে একদিনে শোক দিবস পালিত হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে শ্রীলঙ্কান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ইস্টার সানডের দিনে যে ভয়াবহ হামলা হয়েছে তাতে নিহত হয়েছেন ৩১১ জন। সরকার বলছে, স্থানীয় চরমপন্থীরা হামলা চালালেও এর পেছনে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক জড়িত আছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় অন্তত চারজন মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছেন আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এই হামলার ঘটনার তদন্তে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে (এফবিআই) এ বিষয়ে দায়িত্ব দিয়েছে।
হামলার ঘটনায় নিয়ে শ্রীলঙ্কার পর্যটনবিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছে, রবিবারের ওই সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৩৯ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। তাছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ২৮ বিদেশি।
হামলায় জারিতদের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজিথা সেনারত্নে বলেছেন, হামলার ঘটনায় ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত (এনটিজে) নামের একটি ইসলামী চরমপন্থী দল জড়িত। গোষ্ঠীটি তিনটি গির্জা ও তিনটি অভিজাত হোটেলে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলায় আন্তর্জাতিক মদদ রয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস এ দেশের একদল লোক ওই হামলাগুলো চালিয়েছে। আর তারা একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সাহায্যে হামলাগুলো চালিয়েছে। ওই নেটওয়ার্কের সাহায্য ছাড়া এসব হামলা চালানো সম্ভব হতো না।’