ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা হয়েছে।
এদিকে নুসরাত জাহান রাফির পরিবারকে সহযোগিতা না করার অভিযোগে ইতোমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে।
আজ ১৫ এপ্রিল সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ মামলা দাখিল করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা এ মামলার অভিযোগের বিষয়ে দুপুর ২টার দিকে বিচারক আশ শামস জগলুল হোসেন শুনানি গ্রহণ করবেন।
এদিকে মামলায় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, গত ২৭ মার্চ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত অধ্যক্ষ সিরাজ-উজ-দৌল্লার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করতে থানায় গেলে তিনি নুসরাতের অনুমতি ছাড়াই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি ভিডিও ধারণ করেন।
একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের সময় যৌন হয়রানিমূলক কথা বলেন। উক্ত ভিডিওটি ফেসবুক এবং ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান ওই ছাত্রী। এরপর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেওয়া হয়।
সেখানে বোরকাপরা ৪/৫ ব্যক্তি ওই ছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান।
সেখান প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।