অবশেষে বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন সালমান খান

বর্তমানে বলিউডের জনপ্রিয় নায়ক সালমান খান। এদিকে ২০০ কোটির উপরে ব্যবসা করা সিরিজের তৃতীয় সিকুয়েলের দাবাং-থ্রি-র শুটিংয়ে ব্যস্ত সালমান খান। ভারতের মধ্যপ্রদেশে মান্ডু জেলার ঐতিহাসিক জলমহলে সেট বানিয়ে হচ্ছিল সালমান খানের দাবাং-থ্রি-র শুটিং। কিন্তু দাবাং থ্রি নিয়ে একের পর এক ঝামেলায় পরতে হচ্ছে এই তারকাকে। এবার শুটিং সেট সরিয়ে নেওয়া নিয়ে নোটিশ পেলেন সালমান খান।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের ধর্মীয় মান্ডু জেলায় শুটিং করছেন সালমান। জানা গেছে, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া) পক্ষ থেকে দাবাং থ্রি-র দলকে অবিলম্বে ওই শুটিং সেট সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ, গত শনিবার ছবির নির্মাতাদের কাছে এই নোটিশ পৌঁছলেও তাদের তরফে শুটিং সেট সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপই করা হয়নি।

এদিকে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া)-এর তরফে যে নোটিশ দাবাং-থ্রি-র টিমকে পাঠানো হয়েছে তাতে বলা হয়েছে দেশের প্রাচীন সৌধ ও পুরাতাত্ত্বিক স্থান সংক্রান্ত ১৯৫৮ সালের যে আইন রয়েছে তা মানেনি সালমানের দাবাং-থ্রির টিম। এছাড়া মধ্যপ্রদেশের মহেশ্বর শহরে নর্মদার তীরে একটি দুর্গে শ্যুটিং করার সময় নাকি একটি প্রাচীন মূর্তিও ভেঙে যায় বলে অভিযোগ।

এ ব্যাপারে মধ্যপ্রদেশের সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী বিজয়লক্ষ্মী সাধো গত সোমবারই জানিয়েছেন, যা হয়েছে তা এক্কেবারেই কাম্য নয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে কিছুদিন আগে মহেশ্বর শহরের নর্মদার পাড়ে শ্যুটিংয়ের সময় সলমন শিবলিঙ্গকে অপমান করছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

প্রকাশ্যে আসা একটি ছবিতে দেখা যায় নর্মদার তীরে থাকা একটি শিবলিঙ্গের উপর একটি কাঠের তক্তা পেতে তার উপর দিয়ে হাঁটাচলা সালমান ও তার সেটের অন্যান্য কর্মীরা হাঁটাচলা করছেন। আর এই বিষয়টি নিয়েই তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ ওঠে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছেন সালমান খান।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার ঠিক পরপরই ওই শিবলিঙ্গের উপর শুটিংয়ের জন্য লাগানো তক্তা সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর পুরো ঘটনার বিষয়ে অবশেষে সালমান নিজেই মুখ খুলেছেন।

এ ব্যাপারে সালমান খান বলেন, ‘আমি সবচেয়ে বড় শিবভক্ত। আপনারা যদি এখানে শুটিং করতে না দেন, তাহলে প্যাকআপ করে চলে যাব। মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের আগ্রহতেই আমি এখানে শুটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমার এক ভাই এখানকার পুলিশ আধিকারিক ছিলেন।’

‘আমি এখানে আমার বাড়ি ভেবেই এসেছি। আমি শুটিংয়ের ছবি সাধারণত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করি না। তবে এ ক্ষেত্রে করছি কারণ এর নামের সঙ্গে মহেশ্বর শব্দটি আছে।’