অবশেষে মাশরাফির অভিযোগে বরখাস্ত হল সেই ৪ চিকিৎসক

বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার তৎপরতায় দায়িত্বে অবহেলা ও অফিসের সময়ে অনুপস্থিত থাকার কারনে নড়াইল সদর হাসপাতালের ৪ চিকিৎসককে শাস্তিস্বরূপ ওএসডি (অন স্পেশাল ডিউটি) করা হয়।

এদিকে ওএসডি করার পর নড়াইল সদর হাসপাতালের সেই চার চিকিৎসককে এবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে বরখাস্ত করে আদেশ জারি করা হয়।

এই চিকিৎসকরা হলেন-

ডা: মো: শওকত আলী, জুনিয়র কনসালটেন্ট, কার্ডিওলজি, সদর হাসপাতাল নড়াইল। ওএসডি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা।

ডা: মো: রবিউল আলম, জুনিয়র কনসালটেন্ট, কার্ডিওলজি, সদর হাসপাতাল নড়াইল। ওএসডি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা।

ডা: মো: আখতার হোসেন, সিনিয়র কনসালটেন্ট, সার্জারী, সদর হাসপাতাল, নড়াইল। ওএসডি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা।

ড: এ এস এম সায়েম, মেডিকেল অফিসার, সদর হাসপাতাল নড়াইল। ওএসডি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা।

এর আগে গত বুধবার আকস্মিক নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এই চিকিৎসকদের কর্মস্থলে পাননি মাশরাফি বিন মর্তুজা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চার চিকিৎসককে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে। তাদের ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদফতরে সংযুক্ত করে আদেশ জারি করা হয়।

এরপর আজ ওএসডি আদেশটি বাতিল করে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করা হল। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চারজনের সাময়িক বরখাস্তের আদেশের ভাষা প্রায় একই রকম।

এ সময় প্রত্যেকের নাম ও পদবি উল্লেখ করে বলা হয়, আপনি নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রায়শই কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকেন বলে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ২ (খ) মোতাবেক অসদাচরণের শামিল।

এ সময় আরও বলা হয়, ‘আপনাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে কর্মরত রাখা হলে অফিস শৃঙ্খলা ভঙ্গ হতে পারে ও অফিসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।’

এ সময় আদেশে আরও বলা হয়, ‘এজন্য আপনাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২ (১) মোতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করা হল।’