অবস্থা বেগতিক দেখেই হেলিকপ্টার থেকে লাফ দেন অনন্ত জলিল!

আজ ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে রুপগঞ্জের গোবিন্দপুর গ্রামে হেলিকপ্টারে উড়ে আসেন অনন্ত জলিল। নিরাপত্তা বাহিনির স্পেশাল ব্রাঞ্চ ‘সোয়াত’ অফিসারের পোশাকে তিনি হেলিকপ্টার থেকে নেমেই তান্ডব শুরু করেন। তার নামার খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা গোলাগুলি শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে হেলিকপ্টার থেকে লাফ দেন অনন্ত জলিল!

আসলে এটি চিত্রনায়ক অন্তত জলিলের ‘দ্বীন-দ্য ডে’ ছবির শুটিং দৃশ্য! এদিন শুটিং শুরু হওয়ার কথা সকাল ১১ টায়। কিন্তু বাগড়া দেয় বৃষ্টি। সেকারণে দেড় ঘন্টা পর ক্যামেরা চালু হয় বলে জানান অনন্ত জলিল।

এদিকে শুটিং স্পটে গিয়ে দেখা যায় ইরানি ক্রুদের ভিড়। ক্যামেরা, লাইট সবমিলিয়ে ১৭ জন টেকনিশিয়ান কাজ করছেন। বেলা যখন ১ টা ২২ মিনিট তখন হেলিকপ্টারে অনন্ত জলিলের অ্যাকশন দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করছিলেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম।

এর আগে ইরান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে টানা ১৪ দিন শুটিং করেছেন। গত ৭ দিন ধরে বাংলাদেশে চলছে দ্বিতীয় লটের শুটিং, একটানা চলবে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। শুটিং স্পষ্ট থেকে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ছবির ‘দ্বীন- দ্য ডে’র ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম। তিনি বলেন, ‘রোজার মাসে তুর্কীতে ১৫ দিনের শুটিং হবে।’

এ ব্যাপারে নায়ক অনন্ত জলিল বলেন, ‘ব্যাংক থেকে মোটা অংকের টাকা চুরি হয়। ওইটা উদ্ধার করতে পুলিশ ব্যর্থ হন। তারপর সরকারি নির্দেশে সোয়াত অফিসার ডাকাতদের মেরে টাকাগুলো উদ্ধার করে। ওই সোয়াত অফিসারের ভূমিকায় আমি অভিনয় করছি।’

অনন্ত জলিল আরও বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে, আদম পাচার হচ্ছে, মাদকের আধিপত্য-চোরাচালান সবকিছুই তুলে ধরা হচ্ছে ‘দ্বীন- দ্য ডে’ ছবিতে। বাংলাদেশ, ইরানে মুক্তির লক্ষে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘দ্বীন-দ্য ডে’।’

এদিকে যৌথভাবে ছবিটি প্রযোজনা করছেন অনন্ত জলিল এবং ইরানি একটি নির্মাণ সংস্থা। ছবিতে অনন্ত জলিলের নায়িকা বর্ষা। পাশাপাশি তিনি পরিচালনাও করছেন ইরানি নির্মাতা মর্তুজার সাথে।