আইপিএলে শিরোপা জেতা এই তারকা এখন অসহায়

আইপিএল-এর গত ১১টা সেশন ধরে কেউ কেউ ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স করে আসছেন। এমনও অনেকে আছেন, যাঁরা জাতীয় দলে ডাক না পেলেও পরিচিত হয়ে আছেন আইপিএলের জন্যই। কয়েকটি ম্যাচে দুরন্ত পারফরম্যান্স ছিল তাঁদের। অথচ এখন তাঁদেরই অনেকে ক্রিকেট থেকে বহু দূরে। তেমনই একজনের কথা জেনে নেওয়া যাক।

২০০৮ সালের আইপিএলে নজর কেড়েছিলেন তিনি। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ৯ ম্যাচে ৩১১ করেছিলেন সে বার। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৩.৪৭। গড় ৩৪.৫৫।

ওপেন করতে নেমে গ্রেম স্মিথের সঙ্গে একাধিক অসাধারণ পার্টনারশিপ করেন স্বপ্নিল। সে বার তাঁরা প্রায় ৬০ গড়ে ৪১৮ রান করেন। আইপিএল অভিষেকে নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৬০ রান করেন তিনি।

শেন ওয়ার্নের কাছ থেকে পেয়েছিলেন ‘গোয়ার কামান’ তকমা। রাজস্থানকে আইপিএলের প্রথম এবং একমাত্র খেতাব জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন স্বপ্নিল।

আইপিএলে ২০০৯ সালে স্বপ্নিল হিট উইকেটে আউট হন। বিপক্ষে বোলার ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের বোলার অ্যালবি মর্কেল।

এই ক্রিকেটার ২০০৯ আইপিএল মৌসুমে নিজের ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি। রাজস্থানের হয়ে ১১টি ম্যাচ খেলে তিনি ১১২ রান করেন। এখনও পর্যন্ত আইপিএল ২০টি ম্যাচ খেলে ডানহাতি ব্যাটসম্যান স্বপ্নিল ৪২৩ রান করেছেন, গড় ২১.১৫।

এই গোয়ানিজ ক্রিকেটার আইপিএলে তার শেষ ম্যাচ খেলেন ২০১১ সালে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। পরবর্তীকালে ধারাবাহিক খারাপ ফর্মের কারণে এই সম্ভাবনাময় ব্যাটসম্যান জাতীয় দলেও জায়গা পেতে ব্যর্থ হন।

রঞ্জি ট্রফিতেও গোয়ার হয়ে খেলেছেন স্বপ্নিল। অধিনায়কত্বও করেছেন। তবে ২০১১ সালে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোয়া একেবারেই ভাল খেলেনি। দু’টি ম্যাচে সাসপেন্ডও করা হয় তাঁকে। গত বছর শুরুর দিকে গুজরাতের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলেন তিনি।

ফিটনেসের অভাব এবং বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে গোয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে দল থেকে বাদ দেয়। ক্রিকেট অনুশীলন করলেও ঘরোয়া ক্রিকেটেই আর তেমন সুযোগ পাচ্ছেন না স্বপ্নিল। কাজ করেন ক্রিকেট পরামর্শদাতা ও কোচ হিসাবে। রয়েছে নিজস্ব ব্যবসাও। তিনি বিয়ে করেছেন, তাঁর একটি মেয়েও রয়েছে।