আমি জনসমক্ষে দুঃখিত বলতে রাজি আছি: মাশরাফি

গত ২৫ এপ্রিল নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে গিয়ে বিনা ছুটিতে চার চিকিৎসককে অনুপস্থিত দেখে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের তাগা দিয়েছিলেন তিনি। নড়াইল-২ আসনের স্থানীয় সাংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজা ঝটিকা সফরের ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর চার চিকিৎসককে প্রথমে কারণ দর্শানো নোটিশ, এরপর সোমবার সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় চিকিৎসক সমাজ এবং সমাজের নানা স্তরে বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে আসে।

তবে বিষয়টি নিয়ে মাশরাফি বলেছেন, তিনি যে অবস্থান নিয়েছেন সেটিই সঠিক বলে মনে করেন। তবে তার ওই দিনের ফোনালাপের ভাষায় যদি ওই চিকিৎসক কষ্ট পেয়ে থাকেন, তবে তিনি দুঃখিত।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এসব কথা বলেন তিনি।

মাশরাফি বলেন, ‘আসলে অল্প কথায় ঘটনাটা বোঝানো সম্ভব নয়। ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। তবে এটুকুই শুধু বলি, সেদিন আমি হাসপাতালে গিয়ে যা দেখেছি, তার ভিত্তিতে ওই ডাক্তারকে ফোন দিয়েছিলাম। হয়তো আমার ফোনকলের ভাষায় তিনি দুঃখ পেয়েছেন। তারপরও কিন্তু ওনার সঙ্গে আমার তিন থেকে চারবার কথা হয়েছে। আমি তাকে বলেছি, আমার ভাষায় যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি দুঃখিত। আর সেজন্য আমি জনসমক্ষে দুঃখিত বলতে রাজি আছি। কিন্তু যে কারণে আমি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি, আমি মনে করি সেটা সঠিক ছিল। এটা থেকে আমি সরে আসবো না।’

সেদিন হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে হাজিরা খাতা দেখা, স্টোর রুম পরিদর্শন ও চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলার ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে যায়।

নড়াইল-২ আসনের মাশরাফি বলেন, ‘ওগুলো যে ভিডিও করা হচ্ছিল, সেটা আমি জানতাম না। পরে যে ভিডিও করেছিল, তাকে অনুরোধ করেছিলাম এটা যেন ফেসবুকে না দেওয়া হয়। কিন্তু আপনারা জানেন আমাদের সমাজব্যবস্থা যে ধরনের… ভিডিওটা ভাইরাল হওয়া থেকে আটকাতে পারি নাই।’

তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারেও ডাক্তার আছেন। আমি ডাক্তারদের কী পরিমাণ শ্রদ্ধা ও সম্মান করি সেটা আপনারা অতীতেও দেখেছেন। তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা এখনো আগের মতোই আছে।’