ক্ষমতায় থেকে আ’লীগের জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সাধারণত রাষ্ট্রপরিচালনা করতে গেলে অনেক সময় সরকার ধীরে ধীরে জনমানুষ থেকে হারিয়ে যায়, জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করেছে, জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।’

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবার যে নির্বাচনটা হয়ে গেল সেদিকে তাকালে দেখা যাবে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। যেটা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। ব্যবসায়িক সম্প্রদায়; কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-শিক্ষক থেকে শুরু করে সব পেশাজীবী মানুষ এবং নবীন ও নারী ভোটাররা আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারো চেয়েছে তাদের সেবা করার জন্য। তারা সেজন্য ব্যাপকভাবে ভোট দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে ৩০০ আসনে ৬৯২/৬৯৪টির মত নমিনেশন দিয়েছে। নির্বাচনকে তারা মনে করেছে একটা ব্যবসা। সিট বেচে তারা কিছু পয়সা কামাই করে নিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের প্রতি তাদের খুব একটা নজর ছিল না। এর একটা কারণ, জাতীয় ও আর্ন্তজাতিকভাবে যখন সার্ভে করা হয়েছিল, সেই সার্ভেতে তখন থেকে স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগকে জনগণ চায়। তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে এবং আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। তাই তারা নির্বাচন করার থেকে সিট বিক্রি করে বাণিজ্য করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। যার জন্য তাদের এই হাল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ এগুলোই ছিল তাদের কাজ। আজকে দেশের মানুষ শান্তি আছে। এবার ব্যাপকভাবে নববর্ষ উদযাপন হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সবাই এই উৎসবটা করেছে। আমরা নববর্ষ ভাতাও দিচ্ছি। বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য মুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।’