গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের জন্য বড় দুঃসংবাদ

বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের জন্য দুঃসংবাদ। এই বেসরকারী মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সর্বনিম্ন কলরেট ৫ পয়সা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এসএমপির বিধিনিষেধের আওতায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কলরেট বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গ্রামীণফোনের ইন্টার কানেকশন বা আন্তঃসংযোগ চার্জও বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সার কলরেট গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে এখন হবে ৫০ পয়সা।

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল বিটিআরসিতে এক সভায় এসএমপির কারণে গ্রামীণফোনের কলরেট বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। কলরেট বাড়ানোর বিষয়টি গ্রামীণফোনকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে সংস্থাটি।

এ ব্যাপারে বিটিআরসির প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে- খুচরা মোবাইল সেবাসংশ্লিষ্ট বাজারের নির্ণায়কসমূহ তথা গ্রাহক সংখ্যা, অর্জিত রাজস্ব ও কমিশন কর্তৃক বরাদ্দকৃত তরঙ্গ- এই তিনটি নির্ণায়কের মধ্যে কোনো মোবাইল অপারেটর ন্যূনতম একটিতে মোট বাজারের অন্তত ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করলেই সেটিকে এসএমপি হিসেবে নির্ধারণের বিধান রয়েছে।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে গ্রামীণফোনকে দেশের প্রথম এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রাহক সংখ্যা ও রাজস্ব আয়ের দিক থেকে এসএমপির শর্তের মধ্যে পড়েছে গ্রামীণফোন। বাজারে গ্রামীণফোনের রাজস্ব শেয়ার ৫০ শতাংশ ও গ্রাহক ৪৭ শতাংশের বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে কলরেট বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রামীণফোনের কলড্রপ ২ শতাংশের বেশি হতে পারবে না বলেও বিধিনিষেধে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিটিআরসির প্রতিবেদন বলছে, গত ৬ থেকে ৮ নভেম্বর গ্রামীণফোনের কলড্রপ ছিল ৩.৩৮ শতাংশ, যা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অনেক বেশি। আধিপত্য বজায় রাখতে গ্রামীণফোনকে দেশজুড়ে বিজ্ঞাপন প্রচার না করতে বলা হয়েছে।

তাছাড়া নম্বর পরিবর্তন না করে অন্য অপারেটরে ব্যবহারের সেবা (এমএনপি) সুবিধার আওতায় গ্রামীণফোন ছাড়তে গ্রাহকদের সহজ করে দেয়া হয়েছে।