চলন্ত বাসে যৌন হয়রানির চেষ্টা, লাফ দিয়ে রক্ষা পেলেন চবি ছাত্রী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে চলন্ত মিনিবাসে যৌন হয়রানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে। একপর্যায়ে চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে রক্ষা পান ওই নারী। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করলেও পুলিশ অভিযুক্তদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।

গতকাল ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-ফেসবুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ করে একটি পোস্ট দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে হিউম্যান হলারে করে সহপাঠীদের সঙ্গে শহরে ফিরছিলেন। নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় আসার পর সবাই নেমে যায়। কিন্তু ওই ছাত্রী নামতে গেলে বাধা দেয় গাড়ির চালক ও সহকারী। তারা গাড়িটি জোরে টান দিয়ে সামনে নিয়ে যায়। এমনকি মেয়েটিকে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে আটকানোর চেষ্টা করে। পরে স্টেশন রোড এলাকায় চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে রক্ষা পান তিনি।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মেয়ে বলেন, ‘বাস থেকে নামার জন্য যখন কনট্রাকটরকে বললাম, তখন তিনি বললেন সাইট করে নামিয়ে দেবে। উনি আমাকে না নামিয়ে অন্য রাস্তায় নিয়ে যাচ্ছিলো। যখন চিল্লাই বলছি আমকে নামিয়ে দেন উনি আমার ওড়না পেঁচিয়ে ধরে। আমি তখন বাঁচার জন্য মোবাইল দিয়ে উনার হাতে বাড়ি দেই, উনি আমার হাত ছেড়ে দিলে আমি চলন্ত বাস থেকে লাফ দেই।’

এদিকে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের। পরে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আশ্বাস দিলে মামলা করেন ওই ছাত্রী।

এ বিষয়ে সিএমপি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে এটাকে আমি গুরুত্ব দিয়ে ভিক্টিমকে খুঁজে তাদের পরিচয় বের করছি। ছোট একটি গাড়ি এবং ড্রাইভারের বর্ণনা দিয়েছে।’

এ ব্যাপারে সিএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মেহেদী হাসান বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিক নেতাদের জানিয়েছি, পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছি। আমাদের এখন টার্গেট হচ্ছে যানবাহন, ড্রাইভার এবং হেলপারকে খুঁজে বের করা।’

এদিকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা।