ছাত্রলীগের বৈশাখী কনসার্টে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ, অনুমতি বাতিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের আয়োজনে বৈশাখী কনসার্টের আয়োজন করা হয়। ভোররাতে সংগঠনের এক পক্ষ সেখানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ফলে মল চত্বরে হতে যাওয়া বৈশাখী কনসার্টের অনুমতি বাতিল করেছে প্রশাসন।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) ভোররাতে এক দল গিয়ে মঞ্চ ভাংচুর এবং বিভিন্ন উপকরণে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের আয়োজনে বৈশাখী কনসার্টের অনুমতি বাতিলের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন ‘এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো মূল প্রোগ্রাম নয়। এটি ছাত্রদের প্রোগ্রাম। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যে কোনো সময় কনসার্টের অনুমতি বাতিল করার এখতিয়ার রয়েছে।’

জানা গেছে, কোমল পানীয়ের ব্র্যান্ড মোজোর সহযোগিতায় ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে এ কনসার্টের আয়োজন করে। এতে জেমস, মিলা, ওয়ারফেজ, আর্টসেল ও ফিড ব্যাকসহ বেশ কয়েকটি ব্যান্ডের সঙ্গীত পরিবেশনের কথা ছিল।

তবে মল চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, কনসার্টের মূল মঞ্চ এলোমেলো, পাশে মেলার স্টলগুলো ভাংচুর ও কিছু স্টলের তাঁবু উল্টে আছে, বেশ কয়েকটি ফ্রিজ ভেঙে পড়ে আছে।

এ বিষয়ে মোজোর মার্কেটিং বিভাগের অপারেশন হেড আজম বিন তারেক জানান, রাত ১টার পর এই হামলা হয়। প্রথমে ২০-২৫ জনের একটি দল এসে গণ্ডগোল বাঁধাতে গেলে আমি তাদের ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করি। এর পাঁচ মিনিটের মধ্যে আরও ১০০-১৫০ জন এসে আমাকেসহ আমার ওয়ার্কারদের বের করে দেয়। ১০-১২ মিনিটের মধ্যে পুরো জায়গায় ভাঙচুর চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে চলে যায়। আর এতে ২০-২৫ লাখ টাকার মালামালের ক্ষতি হয়েছে।

এরপর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসাইন হাজার খানেক নেতা-কর্মী নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন এবং আবারও কনসার্ট আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে বলেন মোজো কর্তৃপক্ষকে।

এদিকে, ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের অনুসারীদের এ হামলার জন্য দায়ী করেন রাব্বানী। তবে রাব্বানীর অভিযোগের বিষয়ে শোভনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।