দুই কারণে নুসরাত রাফিকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়

পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেছেন, ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে দুই কারণে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি জানান, দুই কারণে রাফিকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। প্রথমত, অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করে নুসরাত আলেম সমাজকে হেয় করেছে বলে মনে করে তারা। দ্বিতীয়ত, অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠ শামীম দীর্ঘদিন ধরে রাফিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রাফি তা বারবারই প্রত্যাখ্যান করছিল। এই ক্ষোভ থেকে শামীম তাকে হত্যা করার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়।

পিবিআইয়ের ডিআইজি বলেন, অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ্দৌলার নির্দেশেই আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় ওই মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে। বোরকা এবং হাত মোজা পরে তার শরীরে যারা আগুন দেয় তারা রাফিরই সহপাঠী। এদের মধ্যে অন্তত দুইজন ছাত্র এবং দুইজন ছাত্রী।

তিনি জানান, গত ৪ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার সঙ্গে কারাগারে দেখা করে কয়েকজন। এদের মধ্যে ছিল শাহাদাত হোসেন শামীম, জাবেদ হোসেন, হাফেজ আবদুল কাদেরসহ কয়েকজন। এ সময় রাফিকে হত্যার নির্দেশ দেয় সিরাজ। রাফিকে পুড়িয়ে মারার প্রস্তাব দেয় শামীম। কীভাবে পোড়ানো হবে সে বিষয়ে নূরউদ্দিন ও শামীমের নেতৃত্বে তার বিশদ পরিকল্পনা করা হয়।